নয়া মন্ত্রী কারা, হিসেব কষতে ব্যস্ত ক্যামেরন

ফল বেরোনোর পরে চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়েছে। আর ব্রিটেনের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল থেকেই তুমুল ব্যস্ত থাকলেন মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে গত কাল। ৩৩১টি আসন পেয়ে এখন চালকের আসনে ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি। গত বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় লিবার‌্যাল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাতে হয়েছিল ক্যামেরনকে। কিন্তু এ বার ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির কোনও প্রশ্ন নেই। তাই মন্ত্রিসভায় খালি হয়ে যাওয়া পদগুলো নিয়ে এখন নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৫ ০২:২০
Share:

মালিক ব্যস্ত মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে খোশমেজাজে ক্যামেরনের পোষ্য ল্যারি। শনিবার। ছবি: এ এফ পি।

ফল বেরোনোর পরে চব্বিশ ঘণ্টা পেরিয়েছে। আর ব্রিটেনের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল থেকেই তুমুল ব্যস্ত থাকলেন মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে।

Advertisement

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে গত কাল। ৩৩১টি আসন পেয়ে এখন চালকের আসনে ডেভিড ক্যামেরনের কনজারভেটিভ পার্টি। গত বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় লিবার‌্যাল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাতে হয়েছিল ক্যামেরনকে। কিন্তু এ বার ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির কোনও প্রশ্ন নেই। তাই মন্ত্রিসভায় খালি হয়ে যাওয়া পদগুলো নিয়ে এখন নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে তাঁকে।

প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আজই ইঙ্গিত দিয়েছেন, মন্ত্রিসভার চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনও রদবদল চান না তিনি। স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, প্রতিরক্ষা আর চ্যান্সেলরের পদে পরিবর্তন আনছেন না ক্যামেরন। থেরেজা মে, ফিলিপ হ্যামন্ড, মাইকেল ফ্যালন আর জর্জ অসবর্ন তাঁদের পুরনো দায়িত্বই পালন করবেন। শুধুমাত্র অসবর্নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটা নতুন পদ। ‘ফার্স্ট সেক্রেটারি অব স্টেট’। লিবার‌্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা এড মিলিব্যান্ড হেরে যাওয়ায় খালি হয়েছে ব্রিটেনের উপ প্রধানমন্ত্রীর পদটি। কিন্তু সূত্রের খবর, সেখানে আর নতুন কাউকে বসাতে চাইছেন না ক্যামেরন। সে ক্ষেত্রে জর্জ অসবর্নই বেসরকারি ভাবে উপ প্রধানমন্ত্রীর কাজ পালন করবেন বলে ভাবা হচ্ছে। লিবার‌্যাল ডেমোক্র্যাটদের চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডজনখানেক মন্ত্রিত্ব খালি হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে। সেখানে কারা কারা আসবেন, তা নিয়েই চলছে নতুন জল্পনা। আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার নতুন নামগুলো প্রকাশ্যে আনবেন ক্যামেরন।

Advertisement

মন্ত্রিত্ব পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী প্রীতি পটেল আর ঋষি সুনাকও। ইনফোসিস কর্তা এন আর নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির সাফল্যে এখানকার ভারতীয়রা উচ্ছ্বসিত। ঋষি মন্ত্রিত্ব পেলে সেই আনন্দ দ্বিগুণ হবে বলা বাহুল্য।

আগামী পাঁচ বছর ক্যামেরনকে বেগ দেওয়ার জন্য অবশ্য তৈরি হচ্ছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)। স্কটল্যান্ডের ৫৯টি আসনের মধ্যে এসএনপির দখলে এখন ৫৬টি আসন। পৃথক স্কটল্যান্ডের দাবিকে বরাবর নাকচ করেছেন ক্যামেরন। কিন্তু তাঁরা যে নরমে-গরমে চলবেন, সেই বার্তা এখনই দিতে শুরু করেছেন এসএনপি নেতৃত্ব। আজ সকালেই নেত্রী নিকোলা স্টুরগিয়ন বলেছেন, ‘‘স্কটল্যান্ডের মানুষের কণ্ঠস্বর কিন্তু আরও জোরে টের পাবে ওয়েস্টমিনস্টার। এত জোরালো গর্জন এর আগে শোনেনি ব্রিটেন।’’ কালই ক্যামেরনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নিকোলার। ‘‘ক্যামেরনকে বলেছি, স্কটল্যান্ড নিয়ে ব্রিটিশ সরকার আগে যে মনোভাব নিয়ে চলত, এ বার তা বদলানোর সময় এসেছে। সব আগের মতো চলতে পারে না,’’ সাংবাদিকদের আজ স্পষ্টই বলেছেন নিকোলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন