কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাসের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ, আহত ১০

পেশোয়ারে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দিনই হামলা হল কাবুলেও। আজ, বুধবার কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাসের খুব কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পড়ে এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও কোনও নিহতের সংবাদ মেলেনি। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আফগান প্রশাসন সূত্রে খবর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ২০:২৯
Share:

বিস্ফোরণস্থলে পুলিশি নজরদারী। ছবি: রয়টার্স।

পেশোয়ারে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দিনই হামলা হল কাবুলেও। আজ, বুধবার কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাসের খুব কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পড়ে এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও কোনও নিহতের সংবাদ মেলেনি। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আফগান প্রশাসন সূত্রে খবর। কোনও সংগঠন এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে স্বভাবতই তালিবানদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। অন্য দিকে, বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে তহরিক-ই-তালিবানের হামলায় ২১ জনের প্রাণ গিয়েছে।

Advertisement

চলতি সপ্তাহের সোমবার তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য কাবুলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, চিন এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসে ছিলেন। এর আগে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে প্রথম দফার আলোচনা হয়। এই দুই দফায় কী পথে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এগোবে তা স্থির হওয়ার কথা। যদিও এই দু’দফায়ই তালিবানদের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত হয়নি। এ দিনের হামলার পরে শান্তি আলোচনা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তানে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তালিবান। কয়েক মাস আগেই আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে বেশ খানিকটা তালিবানদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তালিবানদের হঠাতে আফগান সেনার পাশাপাশি মার্কিন স্পেশ্যাল ফোর্স এবং ব্রিটিশ সেনাকেও অভিযানে নামতে হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর কাছে জমি হারিয়েছে তালিবানরা। তার উপরে নেতা মোল্লা ওমর ও জালালউদ্দিন হক্কানির মৃত্যুর পরে শুরু হয়েছে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই-এ মিলে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল তালিবানরা। অন্য দিকে, তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল। আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর সময়ে আলোচনার প্রয়াস হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি নতুন করে আলোচনায় উদ্যোগী হয়েছেন। এমনকী আইএস দমন করতে তালিবানদের সঙ্গে আমেরিকা তথ্য বিনিময় শুরু করেছিল। কিন্তু তালিবানদের সব গোষ্ঠী আলোচনায় আগ্রহী কি না তা নিয়েই সন্দেহ তীব্র হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন