Chief of Army Staff Manoj Pandey

উদ্বেগ মায়ানমার সীমান্ত নিয়েও

গত ছ’মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর অশান্ত। গোষ্ঠী সংঘর্ষের তীব্রতা আগের চেয়ে কমলেও তা পুরোপুরি থামাতে কার্যত ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আবহে আজ সেনাপ্রধান বলেছেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের অবস্থা বেশ উদ্বেগের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৩
Share:

সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। —ফাইল ছবি।

পাকিস্তান ও চিন সীমান্তের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বে ভারত-মায়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক বলে স্বীকার করে নিলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। অশান্ত মণিপুরের প্রেক্ষিতে তাঁর ওই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

গত ছ’মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুর অশান্ত। গোষ্ঠী সংঘর্ষের তীব্রতা আগের চেয়ে কমলেও তা পুরোপুরি থামাতে কার্যত ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আবহে আজ সেনাপ্রধান বলেছেন, ভারত-মায়ানমার সীমান্তের অবস্থা বেশ উদ্বেগের। এর জন্য অবশ্য মায়ানমার সরকার ও জঙ্গিদের মধ্যে চলতে থাকা সংঘর্ষকেই দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, ভারত সংলগ্ন মায়ানমার সীমান্তের বেশ কিছু এলাকা ও সেনা ছাউনি এখন সরকার-বিরোধী পিডিপি বিদ্রোহীদের দখলে। তাদের সঙ্গে মায়ানমার সেনার রোজ সংঘর্ষ চলছে। তার জেরে গত কয়েক মাসে মায়ানমারের অন্তত ৪১৬ জন সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন। সংঘর্ষের ফলে মায়ানমার ও ভুটানের বেশ কিছু মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে মিজ়োরামে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মনোজ জানান, মায়ানমার সেনার ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে সীমান্ত এলাকার জঙ্গিরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মণিপুরের পরিস্থিতির দিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে দাবি করে মনোজ বলেন, ‘‘ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আসাম রাইফেলস্‌-এর সমন্বয় রেখেই শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ জারি রয়েছে।

চিনের সঙ্গে থাকা লাদাখ সীমান্ত আপাতত শান্ত থাকলেও ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন রাজৌরি ও পুঞ্চ এলাকায় গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেড়েছে বলে আজ স্বীকার করে নিয়েছেন মনোজ। মাঝে একেবারে শান্ত হয়ে যাওয়া
ওই এলাকায় জঙ্গিদের এ ভাবে আনাগোনা বৃদ্ধির নেপথ্যে পাক সেনার সক্রিয় মদত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। লাদাখ সীমান্ত প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘এখন আমাদের লক্ষ্য, ওই এলাকায় ২০২০ সালের আগেকার পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যেই আলোচনা চলছে চিনা সেনার সঙ্গে। এক বার তা হয়ে গেলে অন্য বৃহত্তর বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে। পূর্বাবস্থা না ফেরা পর্যন্ত লাদাখে যত সংখ্যক সেনা লাগবে, তত সেনাই মোতায়েন থাকবে।’’ সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো নির্মাণে সরকার জোর দিয়েছে বলে দাবি করে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সীমান্তে ৩৫৫টি সেনা চৌকি চিহ্নিত করে সেখানে মোবাইলের ফোর-জি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার হবে। এ ছাড়া সীমান্ত সংলগ্ন অগ্রবর্তী এয়ারফিল্ড, গ্রাম, হেলিপ্যাডে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছাড়াও মাটির নীচে বাঙ্কার-গুদাম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন