Israel-Palestine Conflict

ইজ়রায়েলের স্কুলে যোগ-প্রস্তাব ভারতীয়ের

রিকি দক্ষিণ ইজ়রায়েলের অ্যাশকেলন শহরের এক পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর মা ভারতীয়, বাবা ইজ়রায়েলি। আপাতত রিকির বাবা-মা দু’জনেই মুম্বইয়ে থাকেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জেরুসালেম শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৩
Share:

ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ চলতেই থাকছে। —ফাইল চিত্র।

এক সপ্তাহ হল স্কুলে যেতে পারছে না ইজ়রায়েলের শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীরা। গত শনিবার ভোররাতে হামাস গোষ্ঠী আচমকা হামলা চালানোর পর পরই
দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই গোটা ইজ়রায়েলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তখন থেকে ঘরবন্দি দেশের সব শিশু। তবে বাড়িতে থেকেও শান্তি নেই। ঘনঘন সাইরেনের আওয়াজ, আকাশে রকেটের ঝলকানি ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে শিশুমনে। অনেকেরই বাড়িল লোকজনের অভিযোগ, সারা দিনই আতঙ্কে থাকছে শিশুরা। অনেকে বন্ধ করে দিয়েছে খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলো। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুলে স্কুলে যোগাভ্যাস চালু করার প্রস্তাব দিলেন ইজ়রায়েলে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যুবক। নাম, রিকি শাই। তাঁর দাবি, একবার স্কুল শুরু হলে, সেখানে নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মন শান্ত হবে। তারা আবার ভাল থাকতে
শুরু করবে।

Advertisement

রিকি দক্ষিণ ইজ়রায়েলের অ্যাশকেলন শহরের এক পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর মা ভারতীয়, বাবা ইজ়রায়েলি। আপাতত রিকির বাবা-মা দু’জনেই মুম্বইয়ে থাকেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই যুবক জানিয়েছেন, ইজ়রায়েলের সরকারকে তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখেছেন। সরকার তাঁর আবেদনে সাড়া দিলেই দেশের প্রতিটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের এক জন প্রশিক্ষক যোগাভ্যাস শেখাবেন। সাক্ষাৎকারটিতে রিকি বলেছেন, ‘‘ইজ়রায়েলে এখন সবাই আতঙ্কের পরিবেশে রয়েছে। নিশ্চিন্তে কেউ নেই। সরকারকে আমি চিঠি দিয়েছি যাতে প্রতিটি স্কুলে যোগ বাধ্যতামূলক করা হয়। নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলেই শিশুদের মন আবার শান্ত হবে। তারা আগের মতো জীবনে ফিরে যেতে পারবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন