মাসুদ আজহার
এগিয়ে আসছে ১৩ তারিখ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রস্তাবটি আসবে ওই দিন। স্থায়ী সদস্য দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ব্রিটেন এই প্রস্তাবের পক্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত চিন কী অবস্থান নেয়, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতে চিন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার পক্ষে নয়। কিন্তু তাদের উদ্বেগ, জইশকে আন্তর্জাতিক তালিকাভুক্ত করায় চিন সায় দিলে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাওয়া চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-এ হামলা করে তার বদলা নিতে পারে জইশ। এই করিডরের নিরাপত্তাই এখন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনের।
প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালুচিস্তানের উপর দিয়েই যাচ্ছে না, যাচ্ছে খাইবার পাখতুনওয়ার মানেশেহরা জেলার উপর দিয়ে, যেখানে বালাকোট অবস্থিত। গোয়েন্দাদের খবর অনুযায়ী, জইশের বেশির ভাগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রই ছড়িয়ে রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সিপিইসি-র জন্য বালাকোটের কাছে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করেছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে সংযোগকারী কারাকোরাম হাইওয়েও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়েই গিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে মার্চের ৫ ও ৬ তারিখ ইসলামাবাদে পাক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চিনের উপবিদেশমন্ত্রী কং জুয়ানজু। সূত্রের খবর, তিনি চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন ইসলামাবাদের কাছে। সাউথ ব্লকের দাবি, এই প্রকল্পের অন্যতম অংশ সিপিইসি-র নিরাপত্তার জন্য এত দিন মাসুদের মতো জঙ্গি নেতাদের কাজে লাগানোর কথা ভেবে এসেছে ইসলামাবাদ।