স্যান্ডি ফান-গিলিস
গুপ্তচর বৃত্তির সাজা সাড়ে তিন বছরের জেল। মঙ্গলবার চিনা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন মার্কিন মহিলা ব্যবসায়ী স্যান্ডি ফান-গিলিস। হিউস্টনের এই বাসিন্দা ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে চিনে হেফাজতেই আটক ছিলেন। সাজা খাটার পরে সে দেশ থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেজিং প্রশাসন।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে ব্যবসায়িক কিছু কাজে চিন সফরে যেতে হয়েছিল স্যান্ডিকে। টেক্সাস থেকে বেশ কয়েক জন অফিসারের সঙ্গে চিনের দক্ষিণ অংশে গিয়েছিলেন তিনি। প্রশাসন সূত্রে দাবি, সেই দল থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যান স্যান্ডি। তাঁর আইনজীবী শাং বাওজান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দক্ষিণ চিনের নানিং-এর এক আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানির পরে স্যান্ডিকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদিও চিনে গুপ্তচরবৃত্তির সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
কিন্তু স্যান্ডির ঘটনা নিয়ে নজর রাখছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি প্যানেল। তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মার্কিন ওই মহিলাকে আটক করেছে চিন। বিষয়টি নিয়ে যাতে স্বচ্ছ বিচার হয়, তার জন্য চিনকে গত দু’বছর ধরেই চাপ দিয়ে আসছিল আমেরিকা। স্যান্ডির সাজা ঘোষণার বিষয়টি কানে গিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরের। মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার শুনানিতে
চিনের গুয়াংঝৌ প্রদেশে মার্কিন কনস্যুলেটের এক প্রতিনিধিকেও ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল।
তবে ওয়াশিংটনে চিনের দূতাবাস এ ব্যাপারে টুঁ শব্দ করেনি। স্যান্ডির স্বামী জেফ গিলিস বহুদিন ধরেই
স্ত্রীর মুক্তির জন্য লড়াই চালাচ্ছিলেন। যে সময়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে স্যান্ডির বিরুদ্ধে, ১৯৯০ সালের সেই সময়টা তিনি আমেরিকাতেই ছিলেন বলে জেফের দাবি। এই সংক্রান্ত প্রমাণ তাঁর হাতে রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের হয়ে চিনে চরবৃত্তির অভিযোগ কেন আনা হল, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
স্যান্ডির আইনজীবী বলছেন, ‘‘ওঁকে সাজা খাটতে হবে। কিন্তু একটি শর্ত আছে যার সাহায্যে জেল খাটার আগেই ওঁকে চিন থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। উনি দ্রুত আমেরিকায় ফিরে আসুন, সেটাই চাই আমরা।’’ স্যান্ডি ফান-গিলিস চিনা বংশোদ্ভূত হলেও জন্ম ভিয়েতনামে। মার্কিন নাগরিক হিসেবে থাকেন হিউস্টনে। কাজের সূত্রে চিনে গিয়েছেন বেশ কয়েক বার। এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য হয়নি।