—ফাইল চিত্র।
জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছে চিন। এই সহযোগিতার বিনিময়ে ভারত তাদের মহাযোগযোগ প্রকল্প ‘ওবর’-এ সামিল হোক— চায় বেজিং। চিনা সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের পর এই নিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলবে তারা।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে— কথা বলা নয়, বিষয়টি নিয়ে আগাম চাপ ইতিমধ্যেই তৈরি করা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মাসুদ আজহার সংক্রান্ত নথি নিয়ে বিদেশসচিব বিজয় গোখলে যখন বেজিং-এ গিয়েছিলেন, তখনই ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে মাসুদ আজহার সম্পর্কে ভারতের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু বিনিময়ে ভারতকে চিনের স্বার্থও দেখতে হবে।
ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লুও ঝাউহি জানিয়েছেন, ‘‘ভারত সরকার চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত। আমি বিশ্বাস করি সংযোগ বাড়ানোর মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি সংযোগ অথবা তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পরোক্ষ সংযাগ বাড়লে পণ্য, পরিষেবা, পুঁজি এবং মানুষের আদানপ্রদান বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আসবে। ওবর-এর মাধ্যমে এই সংযোগ শুধু বাড়বে তাই-ই নয়। ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিও লাভবান হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারত এবং চিন উভয়ের জন্যই ওবর ভাল। এটা চিনের ভূকৌশলগত কোনও অস্ত্র নয়। এতে অংশ নিলে আঞ্চলিক পরিকাঠামো এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে। ভারতের উচিত দেরি না করে এগিয়ে আসা।’’ এখানেই না থেমে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সম্প্রতি মাসুদ আজহারকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি মিটেছে। ভারত চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তা নতুন উদ্যমও জুগিয়েছে। আমরা ওবর নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তার দিকটি জানি। কিন্তু ইতিহাস যা ফেলে গিয়েছে তাকে এবং ওবরের মাধ্যমে দু’দেশের অগ্রগতি— এই দুই বিষয়কে পৃথক করা উচিত।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জুনের গোড়াতেই সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের শীর্ষ সম্মেলনে চিনের মুখোমুখি হবে ভারতের নতুন শীর্ষ নেতৃত্ব। নতুন সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। কিন্তু ওবরের অন্তর্গত ‘চিন-পাকিস্তান বাণিজ্য করিডর’ যে হেতু পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তাই এই উদ্যোগে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই এখনও পর্যন্ত চলছে সাউথ ব্লক।