India-China

ভারতে ভিসা ও উড়ানে জটমুক্তির আশায় চিন

আগামী দিনে চিনাদের জন্য ভারতের ভিসা আদায়ের রাস্তা আরও মসৃণ হলে এবং ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হলে দু’দেশের পারস্পরিক বিনিময় আরও অনেকটাই বাড়বে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩৩
Share:

চিনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর চেন জিয়ানজুন (বাঁ দিকে) এবং কলকাতার চিনা কনসাল-জেনারেল চা লিউয়ু। নিজস্ব চিত্র।

সব বিষয়ে এখনই পুরোপুরি পারস্পরিক ঐকমত্যে আসা সম্ভব হয়নি। তবু ভারত-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই শুক্রবার চিনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর চেন জিয়ানজুন কলকাতায় দাবি করেছেন। চিনা দূতাবাসের দাবি, আগামী দিনে চিনাদের জন্য ভারতের ভিসা আদায়ের রাস্তা আরও মসৃণ হলে এবং ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হলে দু’দেশের পারস্পরিক বিনিময় আরও অনেকটাই বাড়বে।

Advertisement

বেজিংয়ে সাম্প্রতিক বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ বা গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভ মঞ্চে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বক্তব্যের উল্লেখ করেই শীর্ষস্তরের চিনা কূটনীতিক চেন নিজেদের বিদেশ নীতির ব্যাখ্যা করেন। বলেন, “চিনা প্রেসিডেন্টও চান সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দূরত্ব কাটুক, সংঘাতকে ছাপিয়ে পরস্পরকে জানাবোঝা শুরু হোক। চিন জোরদার ব্যক্তিকেন্দ্রিক যোগাযোগে বিশ্বাসী। চিন, ভারতের বন্ধুত্বে ২৮০ কোটি লোকের ভাল।” চেনের কথায়, “গত এক বছরে ভারত-চিনের সম্পর্ক ইতিবাচক মোড় নিয়েছে। তিনটি শীর্ষ বৈঠকে শি জিনপিং এবং নরেন্দ্র মোদীজি দেখা হয়েছে। বালির জি-২০ শীর্ষ বৈঠকেও দু’জনের আলাদা কথা হয়েছে। এ ছাড়া দু’দেশের বিদেশ মন্ত্রী থেকে নানা স্তরে কথা চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতিও এখন স্থিতিশীল। দু’দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক কর্তাদের আলোচনাও কাজে আসছে।”

এই পটভূমিতে চিন-ভারতের ব্যবসা, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের হয়ে সওয়াল করেন চিনা দূতাবাস কর্তারা। তাঁরা বলেন, “চিন এক মাস হল ভারতীয়দের পর্যটন ভিসাও দিচ্ছে। গত অগস্ট মাস থেকে ৯৪০৯টি ছাত্র-ভিসা পেয়েছেন ভারতীয়েরা। গত তিন মাসে বাণিজ্য ভিসা-সহ ভারতীয়দের ১৮,৫৬০টি ভিসা দিয়েছে চিন। ভারতীয়রাও চিনাদের আরও সহজে ভিসা দিতে নিশ্চয়ই সাড়া দেবে।” তবে ভারত ও চিনের মধ্যে এখনও উড়ান বন্ধ। অথচ, ভারত ও চিনে দু’দেশের নানা শিল্প উদ্যোগ চলছে। কলকাতার চিনা কনসাল জেনারেল চা লিউয়ু বলেন, “কলকাতা থেকে সপ্তাহে ১৫০-২০০টি ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়। প্রাক-অতিমারি পর্বে সংখ্যাটা আরও বেশি ছিল। কলকাতায় ৮-১০টি চিনা সংস্থার প্রকল্প চলছে। চিনা সংস্থার হাতে বেঙ্গালুরুর মেট্রোর কোচও হচ্ছে টিটাগড়ে।” তবে ভারত-চিন উড়ান না থাকার জন্য কাউকে দায়ী করেননি চিনা কূটনীতিকেরা। তাঁরা বলেন, “সব পড়শি দেশের সঙ্গেই চিনের বিমান সংযোগ আছে। নিশ্চয়ই ভারতের সঙ্গেও ফের উড়ান-যোগ তৈরি হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন