Chinese Army

China-Pakistan: নিজের নাগরিকদের সুরক্ষায় পাকিস্তানে সেনা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় চিন

সেনা ঘাঁটি তৈরিতে পাক সরকারের ছাড়পত্রের বিনিময়ে চিনও তাদের কিছু সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২২ ০৬:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের মাটিতে চিনা সেনা ছাউনি তৈরিতে অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে একটানা চাপ দিয়েই চলেছে বেজিং। গত মাসে করাচিতে চিনাদের উপরে সন্ত্রাস হামলার ঘটনার পর থেকে বেজিংয়ের দাবি, তাদের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পাকিস্তানে সেনা ছাউনি তৈরি প্রয়োজন।

Advertisement

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে হাজার হাজার চিনা কর্মী পাকিস্তানের করাচি, বালুচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তানে কাজ করছেন। এক মাস আগে ‘বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)-র এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি করাচি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি ভ্যানে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে ভ্যানের যাত্রী তিন চিনা নাগরিক ও তাঁদের পাকিস্তানি গাড়ি চালকের প্রাণ যায়। এর পর থেকে কাজের সূত্রে পাকিস্তানে থাকা তাদের দেশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছে চিন। তারা অবিলম্বে পাকিস্তানে নিজেদের সেনা ঘাঁটি তৈরি করতে চায়। সেই মর্মে ক্রমাগত ইসলামাবাদের উপরে চাপ দিয়ে যাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গাও দেখা শুরু করেছে চিন। পাকিস্তানের যে সব অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব ছিল, বিশেষ করে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়, সেই জায়গাগুলি তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

সূত্রের খবর, সেনা ঘাঁটি তৈরিতে পাক সরকারের ছাড়পত্রের বিনিময়ে চিনও তাদের কিছু সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজি। যেমন, যে ঋণের বোঝা রয়েছে পাকিস্তানের কাঁধে, তাতে কিছুটা রেহাই। বেজিংয়ের কাছে ইসলামাবাদের বকেয়া ঋণের বিষয়টি সুবিধাজনক শর্তে দেখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

Advertisement

পাকিস্তানের অন্যতম মিত্র রাষ্ট্র চিন। কিন্তু বালুচিস্তানে বারবার হামলার শিকার হতে হচ্ছে চিনা নাগরিকদের। বিশেষ করে, তাদের নিশানা করছে স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বিএলএ। পাকিস্তানের এই বালুচিস্তান প্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে আফগানিস্তান ও ইরান। অনুপ্রবেশের ঘটনা এখানে অহরহ ঘটে। অনুপ্রবেশকারীদের সন্ত্রাসে ইন্ধনের ঘটনাও চেনা-পরিচিত। ৬০০০ কোটি ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে তারা ইতিমধ্যেই একাধিক জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। ৩ হাজার
কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি চিনের উইঘুর অঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের গদর বন্দরকে যুক্ত করবে। এই সড়কের অনেকটাই যাচ্ছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে। তাই দিল্লি বরাবর এই সড়ক পথ তৈরি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। যদিও পাক-চিন প্রকল্প অব্যাহত রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন