সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় ভারতের সঙ্গে বৈঠক চাইছে চিন

বিআরএফ সম্মেলনে যে ভারত অংশ নেবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্ত্রি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫১
Share:

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে বেজিংয়ের ‘চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর’ (সিপিইসি) প্রকল্প নিয়ে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তার জেরে এ বারও চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম’ (বিআরএফ)-এর সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যার প্রেক্ষিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র মন্তব্য, সম্মেলনে যোগ দিলে ভারতের পক্ষেই ‘ভাল হত’। তাঁর দাবি, ওই প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লির যতই আপত্তি থাক না কেন, উহানের মতো আরও এক সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বেজিং। ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে ফের দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াং।

Advertisement

যদিও বিআরএফ সম্মেলনে যে ভারত অংশ নেবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্ত্রি। গত মাসে চিনা সরকারি সংবাদপত্রে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘যে কোনও যোগাযোগ প্রকল্পই অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, সাম্য এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রেখে করা উচিত। আমাদের দেশের সরকারের মনে হচ্ছে সিপিইসি-তে সেটা একেবারেই বজায় থাকছে না।’’ ২০১৭ সালে বিআরএফ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল চিন। সে বারও তাতে যোগ দেয়নি ভারত। এ বছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পরবর্তী সম্মেলনের। দেড়শোটি দেশ থেকে প্রতিনিধি আসছেন। যা আগেই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতের বক্তব্য, সিপিইসি প্রকল্পের জন্য ভারতের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

যদিও ওয়াং-এর দাবি, সিপিইসি-র জন্য ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্টের প্রশ্ন ওঠে না। উল্টে তিনি বলেছেন, ‘‘বিআরএফ সম্মেলনে যোগ দেওয়াটা চিন-ভারত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার পক্ষে উপযোগী। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর আগে উহান সম্মেলনে যোগ দিতে এসে বলে গিয়েছেন, কোনও বিষয়ে দু’দেশের মত পার্থক্য যেন কখনওই দ্বন্দ্বের আকার না নেয়।’’ এর পরেই তিনি জানান, মোদী যেমন উহানে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, চিন আরও এক বার সেই ধরনের বৈঠকের কথা ভাবছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement