নেপালের বিহার সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নিয়ে আসছে চিন

বিহারের কাছাকাছি রেলপথ বিছিয়ে ভারত-সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সঙ্গেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটাতে চায় চিন। এমনটাই জানিয়েছে চিনা সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত মিডিয়ার একাংশ। আর সে জন্য এ বার রেলপথকেই হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে চিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৬ ১৯:২৩
Share:

বিহারের কাছাকাছি রেলপথ বিছিয়ে ভারত-সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সঙ্গেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটাতে চায় চিন। এমনটাই জানিয়েছে চিনা সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত মিডিয়ার একাংশ। আর সে জন্য এ বার রেলপথকেই হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে চিন।

Advertisement

আসলে নেপালে আন্তঃসীমান্তে রেলপথ বিছিয়ে বিহার তথা ভারতের আরও কাছাকাছি আসতে চায় চিনা সরকার। এ জন্য নেপালের রসুয়াগ়ড়ি পর্যন্ত রেলপথ তৈরির করার প্রকল্প রয়েছে চিনের। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে এই পরিকল্পনা রূপায়ণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি দিনের আলো দেখলে আমূল পরিবর্তন হবে চিন-ভারত বাণিজ্য সম্পর্কে। নেপালের রসুয়াগড়ি থেকে মাত্র ২৪০ কিলোমিটার দূরেই বিহারের বীরগঞ্জ। ফলে, প্রকল্প শেষ হলে এই রেলপথ দিয়ে চিনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে সবচেয়ে লাভবান হবে বিহার। কারণ, দূরত্ব কম হওয়ায় কলকাতা রুট দিয়ে চিনে পণ্য রফতানিতে যে সময় বা অর্থের প্রযোজন, একধাক্কায় অনেকটাই তা কমে যাবে। ফলে উপকৃত হবেন বিহারের ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু, এতে চিনের কী লাভ? চিনা মিডিয়ার দাবি, শুধুমাত্র বিহার বা নেপাল নয়— এই রেলপথের ফলে আখেরে লাভবান হবে চিনই। কারণ, রেলের মাধ্যমে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগস্থাপন করতে পারবে চিন। তবে প্রকল্প রূপায়ণে এখনও বেশ কিছু বাধা রয়েছে। চিনা মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, নেপালের বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ প্রকল্প ইতিমধ্যে নাকচ করে দিয়েছে সে দেশের সরকার। ভারতের উপর নেপালের তথাকথিত নির্ভরশীলতা নিয়ে সম্প্রতি যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা মেটাতে এ মাসের গোড়ায় কৌশলগত পদক্ষেপ করেছে চিন। হিমালয়ের দুর্গম পথ দিয়ে কাঠমান্ডু পর্যন্ত স্থলপথ ও রেললাইনের মাধ্যমে পরিষেবা শুরু করেছে তারা। গত মার্চেই চিনের সঙ্গে রেল ও স্থলপথে পরিষেবা নিয়ে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন বেজিং সফররত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। ওই চুক্তি অনুযায়ী, চিনের গাংসু প্রদেশের লানঝউ থেকে নেপালের কাছাকাছি তিব্বতীয় শহর শিগেজে মালবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু করেছে চিন। সেখান থেকে স্থলপথে নেপালে ওই মালপত্র পাঠানো সম্ভব হবে। সমুদ্রপথে যা পাঠাতে পঁয়ত্রিশ দিন বেশি সময় লাগত।.

Advertisement

আরও পড়ুন

এশিয়ায় আগুন লাগাবেন না, ওবামাকে লাল চোখ দেখাল চিন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন