US China Tariff War

চিনের স্বার্থে আঘাত করে কোন কোন দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা ভাবছে? নজর রাখছে বেজিং, এল কড়া বার্তা

বিশ্বের বাকি সব দেশের পণ্যে আপাতত ১০ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু চিনের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ১৪৫ শতাংশ, যা প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় বন্ধ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০২
Share:

(বাঁ দিকে) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বিশ্বের বাকি সব দেশের পণ্যে আপাতত ১০ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু চিনের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ১৪৫ শতাংশ, যা প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাল্টা বেজিংও মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে যে সমস্ত দেশ সমঝোতার পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে, তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চিন। বলা হয়েছে, বেজিংয়ের স্বার্থে আঘাত করে আমেরিকার সঙ্গে কেউ কোনও চুক্তি করলে বেজিংও ছেড়ে কথা বলবে না। ফল একেবারেই ভাল হবে না। ওই সমস্ত দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

শুল্ক নিয়ে আমেরিকা এবং চিনের সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হচ্ছে। কোনও তরফেই সমঝোতার বার্তা আসছে না। ট্রাম্প নিজে জানিয়েছেন, একাধিক দেশ তাঁর সঙ্গে শুল্ক-সমঝোতায় আসতে চেয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চিনের সঙ্গে বাণিজ্যে হ্রাস টানলে বিভিন্ন দেশের উপর আরোপিত শুল্ক কমিয়ে দেবেন ট্রাম্প। এই মর্মে তিনি বেশ কয়েকটি দেশে প্রস্তাবও দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল চিন।

বেজিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, ‘‘চিনের স্বার্থে আঘাত করে কোনও দেশ যদি আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভেবে থাকে, বেজিং তার তীব্র বিরোধিতা করছে। এই ধরনের পরিস্থিতি এলে চিন কখনওই তা সহ্য করবে না। অবশ্যই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও এক জনের স্বার্থপরতাকে চরিতার্থ করার জন্য অন্যদের স্বার্থে আঘাত করলে আদতে দুই তরফেই ক্ষতি হবে।’’

Advertisement

আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকেই শুল্কনীতি বদলের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। কিছু দিন আগে তিনি বিভিন্ন দেশের উপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন। ভারতের উপরেও ২৬ শতাংশ শুল্কের কথা বলেছিল হোয়াইট হাউস। ৯ এপ্রিল থেকে সেই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করার কথা ছিল। তার ঠিক আগে ট্রাম্প জানান, আপাতত ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম কেবল চিন। তাদের উপর শুল্ক স্থগিত করার পরিবর্তে আরও বাড়িয়ে দেয় মার্কিন প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, শুল্ক নিয়ে চিনের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। আলোচনাও চলছে। তবে সোমবার বেজিংয়ের কড়া বার্তা আবার দু’দেশের সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement