International

কিম জং-উনকে খুনের ফন্দি এঁটেছে আমেরিকা! দাবি উত্তর কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে খুন করার ফন্দি এঁটেছে আমেরিকা। খবর উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ১৯:২১
Share:

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে খুন করার ফন্দি এঁটেছে আমেরিকা। খবর উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র।

Advertisement

পিয়ংইয়ং-এর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রকের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের খবর, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) আর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মদত পাওয়া একটি ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে খুন করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে উত্তর কোরিয়ায়। কিমকে জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র বা ওই ধরনের মারাত্মক কোনও অস্ত্র দিয়ে খুন করার ফন্দি আঁটা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে ওই ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’র সদস্যরা তার প্রস্তুতি-তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে।

পিয়ংইয়ং-এর ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খুব শিগগিরই দেশে ঢুকে পড়া ওই ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’র সদস্যদের খুঁজে বের করবে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। তার পর তাদের ‘নির্দয় ভাবে নিকেশ’ করা হবে।

Advertisement

তবে উত্তর কোরিয়ার ওই সংবাদমাধ্যমে অবশ্য প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। লেখা হয়েছে, ‘‘ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা দেশের সর্বোচ্চ নেতাকে (সুপ্রিম লিডার) খুন করার ফন্দি এঁটেছেন।’’

কোন ধরনের অস্ত্র দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘সর্বোচ্চ নেতা’কে খুনের ফন্দি এঁটেছে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, সংবাদমাধ্যমের খবরে তা-ও জানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে, জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র বা তেজস্ক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র কিংবা কোনও ন্যানো-পয়জেনাস (প্রায় দেখা যায় না, এমন কোনও বিষাক্ত পদার্থ) পদার্থ দিয়েই কিমকে খুনের ফন্দি আঁটা হয়েছে। ওই সব অস্ত্রে কাউকে খুন করার চেষ্টা হলে, প্রয়োগের ৬ মাস থেকে এক বছর পর তার ফলাফল টের পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- বিগ ব্যাং-এর পরের সেকেন্ডে পৌঁছে কী দেখলেন বিজ্ঞানীরা?

উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রকের দাবি, কিমকে খুন করার জন্য ‘কিম’ নামেই উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে ঘুষ দিয়েছেন সিআইএ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। কর্মসূত্রে সেই ‘কিম’ এক সময় ছিলেন রাশিয়ায়। সেই সময়েই সিআইএ আর দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্তাদের খপ্পরে পড়ে যান তিনি। ‘কাজ’টা করে দেওয়ার জন্য সেই ‘কিম’কে কয়েক দফায় মোট তিন লক্ষ ডলার ঘুষ দিয়েছেন মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা-কর্তারা। পিয়ংইয়ং-এ ফিরে গিয়ে ‘কিম’কে প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের গতিবিধির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মাসদু’য়েক আগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন