মেধার জোরে এ দেশে আসুন: ট্রাম্প

অভিবাসন নীতি নিয়ে তাঁর কঠোর মনোভাবের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের থেকে তাঁদের সন্তানেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দেশে-বিদেশে প্রবল নিন্দার ঝড় ওঠে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৭
Share:

অভিবাসন নীতি নিয়ে তাঁর কঠোর মনোভাবের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।

তাঁর কড়া অভিবাসন নীতির সমালোচনা হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। এ বার সেই অভিবাসন নীতি নিয়েই মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানালেন, তিনি চান অন্য দেশ থেকে যাঁরা আমেরিকায় আসছেন বা আসতে চান, তাঁরা মেধার ভিত্তিতে আসুন। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে নয়।

Advertisement

অভিবাসন নীতি নিয়ে তাঁর কঠোর মনোভাবের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প। বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের থেকে তাঁদের সন্তানেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দেশে-বিদেশে প্রবল নিন্দার ঝড় ওঠে। গত কাল হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা এ নিয়েই একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সেখানেই ট্রাম্প জানিয়েছেন, মেধার জোরে আমেরিকায় কেউ থাকতে এলে তাতে তাঁর প্রশাসনের আপত্তি নেই। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘সীমান্ত নিয়ে আমি খুবই কড়া। সেটা সবাই জানে। আমরা চাই, বিদেশ থেকে এখানে যাঁরা আসবেন, তাঁরা বৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসবেন এবং মেধার ভিত্তিতে এ দেশে আসুন। আমরা যেটা চাই সেটা হল মেধা।’’ অর্থাৎ উচ্চশিক্ষিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের দিকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ৩৫ বছর পরে অনেক গাড়ি সংস্থা তাঁদের দেশে ব্যবসা করতে আসছেন। ‘‘আমি চাই অনেক মানুষ এ দেশে এসে থাকুন। অনেক ভাল ভাল গাড়ির সংস্থা এ দেশে আসছে। ৩৫ বছর পরে এটা সম্ভব হয়েছে। উইসকনসিনে এমনই এক সংস্থা বিশাল কারখানা খুলছে। তাই আমরা চাই মেধার জোরে বিদেশ থেকে অনেকেই এখানে আসুন যাঁরা আমাদের সাহায্য করতে পারবেন। ’’

Advertisement

একই সাক্ষাৎকারে আরও এক বার ‘চেন মাইগ্রেশন’ নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, ‘‘এটা খুবই খারাপ একটা নীতি। অনেকেই আমার সঙ্গে সম্মত হবেন। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষই বলবেন যে তাঁরা চান না অপরাধীরা এ দেশে ঢুকুক। যারা আমাদের কোনও সাহায্য করতে পারবে না। তাই আমি চাই কড়া অভিবাসন নীতি।’’ একই সঙ্গে মার্কিন অর্থনীতির প্রশংসা করছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক বিচারে বিশ্বের এক নম্বর দেশ এখন আমেরিকাই। ‘‘চিন বা অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। আমরাই সবার সেরা। সে জন্যই প্রচুর মানুষ এ দেশে আসতে চান। আর তার জন্য সীমান্তে আমাদের রক্ষীরা দারুণ কাজ করছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন