dhaka

ঢাকায় বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধন্দ

প্রথমে মনে হয়েছিল, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেটি ধসে গিয়েছে। কিন্তু রাতে উদ্ধারকারী পুলিশের দল জানায়, ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাড়িটি ধসেনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ০৫:২২
Share:

মগবাজারে বিস্ফোরণের পরে ছবি: ‘প্রথম আলো’র সৌজন্যে।

ঢাকার মগবাজারে রবিবার রাতের বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এখনও পর্যন্ত ৭ জন এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে। আহতের সংখ্যা নিয়ে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। উদ্ধারকারী দলগুলির কারও মতে ৩৬-৪০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারও কারও দাবি, সংখ্যাটি ৪০০। সোমবার সকালে বহু মানুষ নানা জখম নিয়ে হাসপাতালে আসেন।

Advertisement

কী ভাবে বিস্ফোরণ হল এবং পাশের রাস্তা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ল, ২৪ ঘণ্টা পরেও সেই ধাঁধা কাটেনি। প্রথমে মনে হয়েছিল, যে বাড়িতে বিস্ফোরণটি হয়, সেটি ধসে গিয়েছে। কিন্তু রাতে উদ্ধারকারী পুলিশের দল জানায়, ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাড়িটি ধসেনি। কিছুটা দূরে অন্য একটি জীর্ণ বাড়ির একতলার একটি দেওয়াল ধসে গিয়েছে। আশপাশের ৬-৭টি বহুতলে থাকা শোরুমগুলির কাচ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা অনেকেই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এবং ভয়ানক শব্দে তাঁরা হতভম্ব ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে ভেবেছিলেন ভূমিকম্পে উড়ালপুল ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ে এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি বাসেও আগুন লেগে যায়। বেশ কয়েক জন যাত্রী দগ্ধ হন। তবে রাতে মহানগর পুলিশের কর্তারা জানান, এলাকা ঘুরে তাঁরা নিশ্চিত যে এটি জঙ্গি নাশকতার ঘটনা নয়, দুর্ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এসি বা অন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ফেটে বিস্ফোরণটি হয়। বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটারে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেটিও বিস্ফোরিত হয়ে বাস দু’টি জ্বলে যায়। তবে বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, কোনও ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগেনি। অনেকের ধারণা, বাড়িটির একতলায় রেস্তরাঁর কোনও এসি-তে বিস্ফোরণটি হয়। এ দিন সকালে বাড়িটির মধ্যে ঢুকে দেখে দমকল বিভাগের বিশেষজ্ঞরা এসি-বিস্ফোরণের তত্ত্বও উড়িয়ে দেন। তাঁরা জানান, ঘরে প্রাকৃতিক গ্যাসের গন্ধ পেয়েছেন। হতে পারে মাটির নীচে দিয়ে যাওয়া গ্যাসের লাইনে লিক
হয়ে গ্যাস জমেছিল, আগুনের সংস্পর্শে তা বিস্ফোরিত হয়েছে। আবার বিস্ফোরণে পাইপলাইন ফেটে গ্যাসের গন্ধ ছড়াতে পারে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন