Coronavirus

নাইজিরিয়ায় আর এক স্ট্রেন, আতঙ্ক বাড়ছে

করোনাভাইরাসের নিত্যনতুন চমকে কার্যত নাজেহাল গোটা বিশ্ব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এ বার নাইজিরিয়া। বড়দিনে আফ্রিকার সব চেয়ে জনবহুল দেশে করোনাভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেনের আবির্ভাবে আতঙ্ক ছড়াল। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অন্য দু’টি দেশের থেকে নাইজিরিয়ার স্ট্রেনটি চরিত্রগত ভাবে ভিন্ন। অর্থাৎ আলাদা ‘ভেরিয়্যান্ট’। কিন্তু মিল একটাই— বাকি দু’টির মতো এটিও মিউটেশন ঘটিয়ে সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়িয়েছে।

Advertisement

অতিমারি পরিস্থিতি যে ক্রমশই জটিল হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এমনিতেই বছর শেষে এই সময়টা, বড়দিন থেকে নববর্ষ, পর্যটনের মরসুম। বিদেশ সফরে কড়াকড়ি না-বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। ‘আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর ডিরেক্টর জন কেনগাসং বলেন, ‘‘ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে এটি ভিন্ন স্ট্রেন। নাইজিরিয়ায় যে স্ট্রেনটি দেখা যাচ্ছে, সেটি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। তবে এটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার ‘৫০১.ভি২’ স্ট্রেনের মতো ‘৫০১ মিউটেশন’ ঘটেছে।’’ নতুন স্ট্রেন সম্পর্কে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন কেনগাসং। নাইজিরিয়ায় ২০ কোটিরও বেশি মানুষের বাস। অন্য অনেক দেশের তুলনায় এখানে সংক্রমণ কম ছিল এত দিন। সম্প্রতি দৈনিক-সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়েছে এ দেশে।

করোনাভাইরাসের নিত্যনতুন চমকে কার্যত নাজেহাল গোটা বিশ্ব। মোট সংক্রমণ ৮ কোটি ছুঁল আজ। সাড়ে ১৭ লক্ষ মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে প্রায় মলিন বড়দিন। বেথলেহেমে ক্রিসমাস ইভে বড় শোভাযাত্রা হয়। এ বারেও ব্যান্ড-বাজনা সবই ছিল। কিন্তু দেখার জন্য লোক ছিল হাতেগোনা।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোভিড যাঁদের কেড়ে নিয়েছে

শুধু বেথলেহেম নয়, বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই এক ছবি। ব্রিটেনে নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কে কঠিনতম লকডাউন চলছে। পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে মেলামেশা বারণ। ফলে পার্টি, গেট টুগেদার সবই বাতিল। বহু জায়গায় গির্জায় গিয়ে প্রার্থনাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় গির্জায় যাওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট বুক করতে হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে প্রার্থনা করা যায়, গির্জায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্যাটিকানও ফাঁকা। হাতেগোনা কয়েক জনের উপস্থিতিতে প্রার্থনা সেরেছেন পোপ ফ্রান্সিস। অন্য বারের মতো সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা বা সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে জনসমাগমের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইটালিতে লকডাউন চলছে। পরিবারের বাইরে দু’জনের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: কোভিডকে হারিয়েছেন যাঁরা

আথেন্সে বহু পুরনো রীতি, বড়দিনে ছোটরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে উপহার সংগ্রহ করে। কিন্তু এ বারের করোনা পরিস্থিতিতে সেই প্রথা বাতিল করা হয়েছে। রীতি মেনে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গান শুনিয়ে সম্মান জানিয়েছে বাচ্চারা, তবে ভিডিয়ো লিঙ্ক মারফত। ম্যাসেডোনিয়ায় বাড়ির বাইরে জমায়েত বারণ। বাড়িতেও চার জনের বেশি জড়ো হওয়া নিষেধ। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সন্ধে ছ’টার মধ্যে বার, কাফে, রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। সরকারের বার্তা— ‘‘পার্টি পরেও হবে, শরীরস্বাস্থ্য আগে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন