বরিস জনসন। ছবি: এপি।
করোনা-সঙ্কটের মুখে দেশে ‘যথাযথ’ পদক্ষেপ না-করায় কিছু দিন আগেও যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এ বার সেই রোগেই আক্রান্ত হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
টুইটারে এক ভিডিয়ো-বার্তায় বরিস নিজেই খবরটা দিয়েছেন। বলেছেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় হালকা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। পরীক্ষা করিয়ে দেখা গেল, আমি করোনা-পজিটিভ। এখন নিজেকে আলাদা রাখছি। তবে করোনা-লড়াইয়ের সরকারি কাজে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আমি নেতৃত্ব দেব।’’ চিকিৎসক ও নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বরিস। তাঁর সঙ্গিনী, ৩২ বছর বয়সি ক্যারি সাইমন্ডস এখন অন্তঃসত্ত্বা। গত কাল রাতে ইনস্টাগ্রামে ক্যারি তাঁদের পোষা কুকুর ডিলিনের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘একলা থাকা ততটাও খারাপ নয়।’’ তিনি তাঁদের ক্যাম্বারওয়েলের বাড়িতে আলাদা থাকছেন। ৯ মার্চ শেষ বার বরিসের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
নরেন্দ্র মোদী বরিসের উদ্দেশে টুইটে লিখেছেন, ‘‘আপনি লড়াকু, এই চ্যালেঞ্জও পেরিয়ে যাবেন। ব্রিটেনকে সুস্থ করে তুলতে আপনার আরোগ্য কামনা করি।’’ বরিসকে ফোন করে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বরিস কাজের মধ্যে থাকবেন জানালেও ভাবা হয়েছিল, তাঁর অবস্থা জটিল হলে দায়িত্ব সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। পরে জানা যায়, হ্যানককের শরীরেও করোনার উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে।
এর মধ্যেই ব্রিটেনে মৃত্যু হয়েছে এশীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক হাবিব জাইদির। বয়স হয়েছিল ৭৬। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, কোভিড-১৯-এর বলি হয়েছেন তিনি। এসেক্সের লি-তে গত ৪৫ বছর ধরে কাজ করছিলেন হাবিব। গত বুধবার এসেক্সের সাউথএন্ড হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যান তিনি। আপাতত মনে করা হচ্ছে, ব্রিটেনে এই প্রথম করোনায় মৃত্যু হল কোনও চিকিৎসকের। তবে রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে বিষয়টি। জাইদির কন্যা সারা নিজেও ডাক্তার। বাবার করোনা উপসর্গ ছিল এবং তিনি আলাদাই থাকছিলেন বলে জানান সারা। বলেন, ‘‘কাজ নিয়ে বরাবরই একাগ্র ছিলেন বাবা। ওঁর ত্যাগেই সেটা প্রতিফলিত।’’