ডালাসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের ওপর আরও বড় হামলার ছক ছিল মিকার?

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের উপর আরও বড় হামলার ছক ছিল কৃষ্ণাঙ্গ মিকা এক্স জনসনের। ডালাসে নিহত হামলাকারীর বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরক মেলার পরে এমনটাই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার হামলার রাতেই পুলিশের পাঠানো রোবট-বোমায় উড়ে যায় মিকা। আজ তা নিয়েও জোর বিতর্ক মার্কিন মুলুকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ১২:৪৮
Share:

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের উপর আরও বড় হামলার ছক ছিল কৃষ্ণাঙ্গ মিকা এক্স জনসনের। ডালাসে নিহত হামলাকারীর বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র ও বিস্ফোরক মেলার পরে এমনটাই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার হামলার রাতেই পুলিশের পাঠানো রোবট-বোমায় উড়ে যায় মিকা। আজ তা নিয়েও জোর বিতর্ক মার্কিন মুলুকে। ‘রোবট-বোমা’-র মতো সামরিক কৌশল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে কেন, প্রশ্ন তুলেছেন দেশের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন।

Advertisement

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, প্রাক্তন এই মার্কিন সেনার সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের কোনও সংগঠনের সম্পর্ক নেই। কিন্তু আজ মিকার ফেসবুক ঘেঁটে পুলিশ জানিয়েছে, ‘আফ্রো-আমেরিকান ডিফেন্স লিগ’ এবং ‘নিউ ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি’ নামের এমন অন্তত দু’টি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সে। তাই সংগঠিত হামলার তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কিন্তু আততায়ীকে হাতেনাতে ধরলেই তো সে ধন্দ মিটে যেত!

আরও পড়ুন- ডালাসে রোবট-পুলিশের ‘খুন’ ঘিরে এবার বিতর্ক

Advertisement

ডালাস পুলিশ জানাচ্ছে, স্নাইপার হামলায় ৫ পুলিশ খুনের পরে ডালাস সিটি হলের নিকটবর্তী একটি তিন তলার পার্কিং লটে আশ্রয় নিয়েছিল মিকা। গত কালও পুলিশ দাবি করেছিল, মিছিলকে ঢাল বানিয়ে সে একাই হামলা চালায়। কিন্তু আজ মিকার ফেসবুকে একাধিক কৃষ্ণাঙ্গ সংগঠনের হদিস পেয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা। শহরের আর কোথায় কোথায় হামলা চালাতে সে বাড়িতে বিস্ফোরক রেখেছিল, খুঁজছে পুলিশ। শুধুই শ্বেতাঙ্গ বিদ্বেষ, নাকি তার হামলার পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পেন্টাগন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ থেকে মার্কিন সেনার সদস্য ছিল সে। ছ’বছর সেই চাকরিতে বহাল ছিল মিকা। ২০১৩-র নভেম্বরে তাকে জন্য আফগানিস্তানের যুদ্ধেও পাঠানো হয়। তার পর? জানা গিয়েছে, এক মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে যুদ্ধের মাঝেই মিকাকে ফেরত পাঠানো হয়। আর তা নাকি খানিকটা ‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে’, অভিযুক্তকে কিছু বলতে না দিয়েই। তার প্রতিশোধ নিতেই কি এই হামলা— সূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন