যৌন নিগ্রহ? আত্মঘাতী রিপাবলিকান নেতা ড্যান

ড্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী মারান্ডা রিচমন্ড এখন ২১-এর তরুণী। তাঁর দাবি, ২০১৩-র নতুন বছর শুরুর দিনে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁর বয়স তখন ১৭।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কেন্টাকি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

ড্যান জনসন

পাঁচ বছর আগে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্য, কেন্টাকির রিপাবলিকান সেই নেতা ড্যান জনসন মারা গিয়েছেন। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সন্দেহ। কেন্টাকির বুল্লিট কাউন্টির মাউন্ট ওয়াশিংটনের কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহে ছিল একটা গুলির আঘাত। পড়ে ছিল ৪০ ক্যালিবারের সেমি অটোম্যাটিক হ্যান্ডগান।

Advertisement

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ড্যান লুইসভিলের দক্ষিণপূর্বের একটি এলাকায় গিয়েছিলেন গাড়ি চালিয়ে। তার পর সেখানে গাড়ি পার্ক করেন। গাড়ির সামনেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন। তার কিছু ক্ষণ আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ এবং খাপছাড়া এক বার্তায় জানান, তিনি যৌন নিগ্রহ করেননি। পরিবারের বাকিদের বলেন, তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকতে। এই পোস্ট দেখেই আত্মীয়রা উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশকে জানান। সেই খবরে পুলিশ খোঁজ শুরু করে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।

ড্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী মারান্ডা রিচমন্ড এখন ২১-এর তরুণী। তাঁর দাবি, ২০১৩-র নতুন বছর শুরুর দিনে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁর বয়স তখন ১৭। লুইসভিলের হার্ট অব ফায়ার চার্চের আশপাশে সে সময় থাকতেন মারান্ডা। জনসন ওই এলাকায় প্যাস্টর ছিলেন। মারান্ডার অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় জনসন তাঁকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন। জামার তলায় হাতও দিতে গিয়েছিলেন। লুইসভিল মেট্রো পুলিশ বিভাগ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করলেও জনসনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আগেই তা বন্ধ করে দেয়। পরে সেই অভিযোগ যায় কেন্টাকি সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং-এর হাতে। তারা ফের মারান্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত সোমবার তারা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে। তার পর দিনই অভিযোগ অস্বীকার করেন ড্যান। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিরোধীরাই উস্কেছে মারান্ডাকে।

Advertisement

ড্যানের কথায়, ‘‘এমন অভিযোগ এই প্রথম শুনলাম।’’ তিনি সাংবাদিক বৈঠকও ডাকেন। পরে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘ঈশ্বরই শুধু সত্যিটা জানেন। ওরা যে ভাবে দেখাচ্ছে, ব্যাপারটা তা একেবারেই নয়। আমেরিকা এ ধরনের ভুয়ো খবর বিশ্বাস করে না। আমি ঈশ্বরকে ভালবাসি, আমার স্ত্রীকে ভালবাসি। ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্ত্রী। ৯/১১-র নিহতদের শেষকৃত্যে অনেক সাহায্য করেছি। আর এ সব নিতে পারছি না।’’ খেই হারানো এই পোস্ট থেকেই খোঁজ শুরু হয় তাঁর।

শুধু যৌন নিগ্রহ নয়, এর আগে আরও একটি কারণে শিরোনামে এসেছেন জনসন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামাকে তিনি ফেসবুক পোস্টে বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিতর্কিত ওই পোস্ট সত্ত্বেও কেন্টাকিতে ডিস্ট্রিক্ট স্টেট হাউস-এ ভোটের লড়াইয়ে জিতে যান। বিতর্ক শুরু হতেই তিনি তখন বলেছিলেন ‘আমাকে লড়াই থেকে সরিয়ে দিন!’’ শেষমেশ ভোটে জেতেন তিনিই। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রতিনিধিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন