জঙ্গি মন নিয়ে বই

ওসামার নারী-আসক্তি ভাল লাগত হেডলির

তাঁর বাবার স্ত্রী ছিলেন ২২ জন। সন্তান সংখ্যা ৫৪। আর তিনি নিজে বিয়ে করেছিলেন ছ’জনকে। সেই ছয় স্ত্রীর থেকে তাঁর সন্তান ছিল মোট ২০টি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৬ ০৯:১৭
Share:

তাঁর বাবার স্ত্রী ছিলেন ২২ জন। সন্তান সংখ্যা ৫৪। আর তিনি নিজে বিয়ে করেছিলেন ছ’জনকে। সেই ছয় স্ত্রীর থেকে তাঁর সন্তান ছিল মোট ২০টি। দ্বিতীয় জন হলেন ৯/১১-র মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেন। প্রথম জন তাঁরই বাবা, মহম্মদ বিন লাদেন। আর এই বিন লাদেন পরিবারের ‘বহু বিবাহ তত্ত্ব’ থেকে যিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, তাঁকে নিয়ে এ বার একটি বই লিখে ফেলেছেন এক সাংবাদিক। আর শুরুতেই সেই বই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

‘দ্য মাইন্ড অব আ টেররিস্ট’। ডেনমার্কের সাংবাদিক কারে সোরেনসেন যে সন্ত্রাসবাদীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে বইটি লিখেছেন, সেই ডেভিড কোলম্যান হেডলি এখন আমেরিকার কোনও জেলের অত্যন্ত গোপন কোনও কুঠুরিতে সাজা খাটছেন। ২০৩৯ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু হেডলিরই কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়া ই-মেল আর অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট (লিপ্যন্তর) থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তাঁর সম্পর্কে নানা অজানা তথ্যের। আর সেই তথ্যের সম্ভারই নিজের নতুন বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন সোরেনসেন।

বইটিতে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হেডলির নারীসঙ্গ নিয়ে এক বিস্তারিত পর্যায় রয়েছে। হেডলি নিজেই স্বীকার করেছেন, ওসামা বিন লাদেনের বহু বিবাহ তাঁকে ভীষণ ভাবে টানে। আল কায়দা প্রধান নাকি বলতেন, ‘‘জীবনে এক জন স্ত্রী রাখাটা একলা পথ হাঁটার মতো। দুই স্ত্রী মানে বাইসাইকেল চালানো। এটা দ্রুত চলে কিন্তু স্থিতিশীল নয় একেবারেই। তিনটে স্ত্রী থাকাটা ট্রাইসাইকেল চালানোর সমান। স্থিতিশীল। কিন্তু ধীরে চলো নীতি। কারও চার স্ত্রী থাকাটাই আদর্শ জীবন হতে পারে। কারণ এর পর সকলকেই অতিক্রম করে চলে যাওয়া যায়।’’ ওসামার এই উক্তি তুলেই সোরেনসেন তুলনা করেছেন হেডলির। জানিয়েছেন, ওসামার এই একই সঙ্গে একাধিক নারীতে আসক্তির বিষয়টি বড় পছন্দ করতেন হেডলি। আর সেটাই নাকি ছিল তাঁর সব চেয়ে বড় দুর্বলতা।

Advertisement

মাদক পাচার থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক তৈরি। সব বিষয়ে সিদ্ধহস্ত হেডলি মহিলা দেখলেই দুর্বল হয়ে পড়তেন। সোরেনসেন লিখেছেন, হেডলির দ্বিতীয় স্ত্রী ফইজা আউতাল্লাহার কথা। মরক্কোর বাসিন্দা ফইজা এক সময় লাহৌর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সুন্দরী ফইজার প্রেমে পড়তে বেশি সময় নেননি হেডলি। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঝামেলা। হেডলির অতি নারীতে আসক্তিই নাকি ছিল সেই অশান্তির মূল কারণ। বিয়ে বাঁচাতে নাকি লস্কর প্রধান হাফিজ সইদেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফইজা। আবার সেই ফইজাই নিজের স্বামীর জঙ্গি যোগের কথা মার্কিন পুলিশের কাছে ফাঁস করেছিলেন।

পাকিস্তানি মহিলারা যদিও হেডলির না-পসন্দ ছিল। তিনি নাকি বলতেন, ‘‘পাকিস্তানের মহিলারা অনেক জটিল। স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকলেই অশান্তি শুরু করে তারা। উল্টো দিকে আরবের মহিলারা একেবারেই মনের মতো। কারণ তাঁরা বড্ড খোলা মনের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন