দাবানলে মৃত ৩১, নিখোঁজ বহু

সোনোমোর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। খোঁজ নেই চারশোরও বেশি বাসিন্দার। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে বিপজ্জনক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে জঙ্গল থেকে শহরে। ছবি: এপি।

ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা প্রদেশে থাকতেন ওঁরা। গত রবিবার থেকেই শুনছিলেন, দাবানল লেগেছে দেশের বহু জায়গায়। কিন্তু বুঝতে পারেননি কয়েক দিনের মধ্যেই সেই আগুনে নিজেরাই পুড়ে ছাই হয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেলেন সোনোমোর ওই বৃদ্ধ দম্পতি। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এ পর্যন্ত আগুনের গ্রাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১। দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত এক দশকে এত বড় দাবানল দেখেনি ক্যালিফোর্নিয়া।

Advertisement

সোনোমো, সান্টা রোসা, ক্যালিসটোগা-সহ উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার আটটি কাউন্টি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২০টি দাবানল। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে জঙ্গল থেকে শহরে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে, কোথাও কোথাও বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময়টুকু পাচ্ছে না মানুষ।

কিন্তু সমস্ত রকম জরুরি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন এই পরিস্থিতি? আবহবিদরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ক্যালিফোর্নিয়ার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব কম থাকে। সঙ্গী হয়েছে হাওয়ার তেজ গতি। ফলে উদ্ধারকাজে ৮ হাজার কর্মী নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

সোনোমোর পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। খোঁজ নেই চারশোরও বেশি বাসিন্দার। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে বিপজ্জনক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ক্যালিসটোগার নাপা ভ্যালি শহরে বৃহস্পতিবার অন্তত ৫ হাজার বাসিন্দাকে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement