India

কৌশলী সতর্কতায় চিনকে বার্তা দিল্লির

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এমন সুকৌশলে এবং সতর্কতার সঙ্গে  চিনকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি  আরও বিগড়ে না যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আমেরিকার অর্থনীতি ও নিরাপত্তা কমিশন সম্প্রতি সে দেশের কংগ্রেসকে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় জুন মাসের সংঘর্ষের প্রশ্নে তোপ দাগা হয়েছে সরাসরি চিন সরকারের দিকে। নয়াদিল্লি আজ সেই আক্রমণে সুরে সুর না মিলিয়েও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেজিংকে কড়া বার্তা দিল। ব্রহ্মপুত্রের কাছে চিনের মহাবাঁধ তৈরির উদ্যোগ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর— প্রতিটি বিষয়েই সরব হলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

Advertisement

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এমন সুকৌশলে এবং সতর্কতার সঙ্গে চিনকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি আরও বিগড়ে না যায়। সামরিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার যে দরজাটি খোলা রয়েছে বেজিংয়ের সঙ্গে, তাতে যেন কোনও সমস্যা না তৈরি হয়।

ব্রহ্মপুত্রের কাছে চিনের নদী প্রকল্প সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আজ বলেন, “এ ব্যাপারে রিপোর্ট আমরা দেখেছি। সরকার সতর্কতার সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদীতে সমস্ত কার্যকলাপ নজরে রাখছে। নিম্ন অববাহিকার দেশ হিসেবে আমরা দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর জল ব্যবহারের প্রশ্নে আমাদের আইনসঙ্গত অধিকারের কথা বারবার চিনকে জানিয়েছি। এটাও বলা হয়েছে, তাদের কোনও কার্যকলাপে যেন নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত দেশের জলের স্রোতে টান না পড়ে।’’

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘২০০৬ সালে দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলির বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের মেকানিজম তৈরি হয়েছিল। সেই মেকানিজম এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই ভারত চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’’

আমেরিকার গলওয়ান সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রসঙ্গে অনুরাগ ১৫ জুন উপত্যকায় নিহত ভারতীয় সেনাদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “ভারত এবং চিনের মধ্যে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলা উচিত। দু’দেশেরই উচিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে মান্য করা, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন না করা।

সীমান্তের স্থিতাবস্থা লঙ্ঘিত হয় এমন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয় একতরফা ভাবে।’’

সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তান সফর করেছেন। কথা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পুরনো অবস্থানের প্রতিধ্বনি করেই আজ অনুরাগের বক্তব্য, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ভূখণ্ড। তাকে বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। ফলে এমন কোনও পদক্ষেপ ভারত বরদাস্ত করবে না, যাতে সেই ভূখণ্ডের বাস্তবিক কোনও পরিবর্তন হয়।’’ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন