মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় মঙ্গলবার প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের মোট ৪১টি আসনের নির্বাচনে মূল লড়াই বিএনপির ছাত্রশাখা ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’, জামায়াতে ইসলামির শাখা সংগঠন ‘ইসলামি ছাত্রশিবির’ এবং গত বছরের জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’-এর মধ্যে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ভোটের ময়দানে রয়েছেন বামপন্থী সংগঠন ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ এবং গত বছর শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের আর এক শক্তি গণ অধিকার ফোরাম সমর্থিত ছাত্রগোষ্ঠী ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’-এর প্রার্থীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-র মোট ২৮টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। অন্য দিকে, ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি আসনের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১০৩৫ জন। অর্থাৎ প্রত্যেক ভোটারকে ৪১টি (২৮+১৩) করে ভোট দিতে হবে। আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ডাকসুর ছাত্র প্রতিনিধি শীর্ষপদ সহ-সভাপতি পদে ভোট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংসদ এবং হল সংসদের জন্য দু’টি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার ভোট হবে ‘অপটিক্যাল মার্ক রেকগনিশন’ (ওএমআর) শিটে। ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের জন্য থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। ছাত্র ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রবিবার থেকে জল্পনা ছড়িয়েছিল, ভোট ঘিরে অশান্তি ঠেকাতে ইউনূস সরকার ঢাকায় সেনা মোতায়েন করতে পারে। কিন্তু সোমবার ‘আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতর’ (আইএসপিআর)-এর তরফে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না সেনা। প্রসঙ্গত, গণবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লীগকে ইউনূস সরকার নিষিদ্ধ করায় তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পায়নি।