ডোকলাম। -ফাইল চিত্র।
ডোকলাম ইস্যুতে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলি ভারতের প্রতি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ বলেই ডোকলাম নিয়ে একটানা ভারতের পক্ষেই কথা বলে চলেছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর একটি সস্পাদকীয়তে মঙ্গলবার এই অভিযোগ করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘চিনের চেয়ে দুর্বল বলেই ভারত পশ্চিমী দুনিয়ার সহানুভূতি কুড়িয়ে নিতে পারছে’’।
গত দু’-আড়াই মাস ধরে বেজিং যে সুরে অভিযোগটা করে চলেছে ভারতের বিরুদ্ধে, সেই একই সুর বেরিয়ে এসেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রের এ দিনের সম্পাদকীয়তে। লেখা হয়েছে, ‘‘ভারত অবৈধ ভাবে চিনের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম-বিধির পরোয়া না করে চিন ও ভূটানের মধ্যে চলা ‘আঞ্চলিক বিরোধে’ একতরফা ভাবে নাক গলিয়েছে। কিন্তু তার পরেও পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে সহানুভূতি কুড়িয়ে নিচ্ছে ভারত। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম ভারতকেই পরিস্থিতির শিকার বলে ভাবছে। আর ডোকলাম সমস্যায় ভারতের অবস্থানকে সেই ভাবেই তুলে ধরা হচ্ছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে।’’
আরও পড়ুন- চিনকে ভাঙার চেষ্টা মেনে নেব না, ফের হুঙ্কার শি চিনফিং-এর
ঘটনা হল, গত ১৬ জুন চিনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি নিয়মবিধি ভেঙে ঢুকে পড়ে ভূটানের ভৌগলিক মানচিত্রে থাকা ডোকলামে। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে এটাই উঠে এসেছে ‘চিনের আগ্রাসন’ বলে। আর সেটা যে বেজিংয়ের উষ্মা বাড়িয়েছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর এ দিনের সম্পাদকীয়তে। লেখা হয়েছে, ‘‘ডোকলাম নিয়ে ভারতের সুরেই কথা বলছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম।’’
আরও পড়ুন- পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে ৬ জন প্রার্থী
ওই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত ‘সব সময়েই কিছুটা অগ্রাধিকার পেয়ে যায়’। তার কারণ, ভারতে রয়েছে গণতন্ত্র আর চিনে সমাজতন্ত্র।