অজানা অসুখ মার্কিন কর্মীদের

ঘটনার সূত্রপাত বছর খানেক আগে। বেশ কয়েক জন দূতাবাস কর্মী অভিযোগ করেন, প্রথমে নিজেদের ঘরের একটি বিশিষ্ট জায়গায় অদ্ভুত কোনও শব্দ শুনতে পান তাঁরা। শব্দের উৎস থেকে কয়েক ফুট দূরে গেলেই সেই শব্দ উধাও হয়ে যাচ্ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হাভানা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

টানা ৫৪ বছরের বরফ গলিয়ে ফিদেল কাস্ত্রোর দেশে ফের দূতাবাস খুলেছিলেন বারাক ওবামা। সেই দূতাবাসের কর্মীদের কাছেই এখন আতঙ্কের নাম কিউবা। এক অজানা রোগ চেপে ধরেছে আমেরিকার কূটনৈতিক ও তাঁদের পরিবারকে। কে, কেন আর কী ভাবে মার্কিন আধিকারিকদের আক্রমণ করে চলেছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে বুঝে উঠতে পারেনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-ও। তবে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, দূতাবাস কর্মীদের মস্তিষ্কে ‘অস্বাভাবিকতা’র লক্ষণ মিলেছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত বছর খানেক আগে। বেশ কয়েক জন দূতাবাস কর্মী অভিযোগ করেন, প্রথমে নিজেদের ঘরের একটি বিশিষ্ট জায়গায় অদ্ভুত কোনও শব্দ শুনতে পান তাঁরা। শব্দের উৎস থেকে কয়েক ফুট দূরে গেলেই সেই শব্দ উধাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই শব্দ শোনার পর থেকেই মাথা ঘোরা, বমি ভাব থেকে শুরু করে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তাঁদের। শুধু বাড়িই নয়, হোটেলের ঘরেও একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকের। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়েছেন, আক্রান্ত দূতাবাস কর্মীদের মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাঁদের মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটারেও পরিবর্তন ঘটেছে। এই ধরনের রোগ এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছিলেন এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ ভাবে নিযুক্ত এক দল বিজ্ঞানী। আমেরিকার সঙ্গে কানাডার কিছু দূতাবাস কর্মীরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে হাভানায়।

মার্কিন গোয়েন্দারা প্রথমে জানান, কোনও ‘শব্দাস্ত্র’ ( সোনিক ওয়েপন) ব্যবহার করে ওই আক্রমণ করা হয়েছে। পরে অবশ্য সেই তত্ত্ব থেকে সরে আসেন তাঁরা। স্ত্রী-সহ মোট ২৪ জন মার্কিন দূতাবাস কর্মী এই অজানা রোগে আক্রন্ত হয়েছিলেন। তবে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পরে বেশির ভাগ কর্মীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু গোটা ঘটনায় কিউবা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, সব ক’টি ঘটনাই ঘটেছে হাভানার মাটিতে, তাই সেখানকার সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। ‘আমেরিকা মিথ্যে বলছে’ বলে পাল্টা তোপ দেগেছে রাউল কাস্ত্রোর প্রশাসনও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন