১৮ ক্যারটের এমন একটি সোনার কমোড ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নেওয়ার প্রস্তাব দেন মিউজিয়ামের কিউরেটর।
এ যেন নাকের বদলে নরুনও নয়। ভ্যান গঘের ছবি চেয়ে ‘গোল্ডেন অফার’ পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
সম্প্রতি হোটাইট হাউসের তরফে গুগেনহেম মিউজিয়ামে একটি অনুরোধ আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার ব্যক্তিগত বৈঠকখানায় রাখার জন্য ভ্যান গঘের একটি দুর্মূল্য ছবি চেয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু, মিউজিয়ামের তরফে সেই অনুরোধ রাখা হয়নি। ছবির পরিবর্তে বরং মিউজিয়ামে রাখা ‘আমেরিকা’ নামে সোনার একটি কমোড প্রেসিডেন্টকে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ভ্যান গঘের যে ছবিটি চাওয়া হয়েছিল, তার নাম ‘ল্যান্ডস্কেপ উইথ স্নো’। কালো টুপি পরে ফ্রান্সের আরলেসের রাস্তা ধরে হাঁটছেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে তাঁর পোষা কুকুর। ১৮৮৮ সালে ভ্যান গঘ এই ছবিটি এঁকেছিলেন। বহু বছর ধরে ওই মিউজিয়ামে ছবিটি রাখা আছে। সেটাই নিজের বৈঠকখানায় রাখতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান! গুঞ্জনে বিরক্ত নিকি
কিন্তু জবাবে ট্রাম্পকে মিউজিয়ামের কিউরেটর ন্যান্সি স্পেকটর লেখেন, ‘আপনার জন্য আরও ভাল অফার রয়েছে। অত্যন্ত মূল্যবান একটি সোনার কমোড। দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে মিউজিয়াম ওটা আপনাকে দিতে পারে। কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে বা যত্ন নিতে হবে, সেটাও বিশদে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ প্রস্তাবিত কমোডটি এত দিন দর্শকদের ব্যবহারের জন্য মিউজিয়ামের ছ’তলার ভিজিটর রুমে রাখা ছিল। এখনও পর্যন্ত সেটি ১ লক্ষ দর্শক ব্যবহারও করেছেন।
তবে, ছবির বদলে কমোড দেওয়ার এমন প্রস্তাবকে অনেকেই ট্রাম্পকে বিদ্রুপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, উপচে পড়া মার্কিন ধনসম্পদকে ব্যঙ্গ করতেই এমনটা করা হয়েছে।
হঠাৎ কেন এমন প্রস্তাব দিলেন মিউজিয়ামের কিউরেটর ন্যান্সি?
শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলান এই সোনার কমোডটি তৈরি করেছিলেন। নির্মাণের সেই কাহিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সঙ্গে কিছুটা সম্পর্কিত। কী রকম? ২০১৫ সালের মাঝামাঝি থেকে চাউর হতে শুরু করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন। ২০১৭-র জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সোনার কমোড তৈরি করেন ক্যাটেলান। মিউজিয়ামে সেটি জায়গাও পায়। নাম দেওয়া হয় ‘আমেরিকা’। সমালোচকেরা মনে করেন, ধনকুবের ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা মাথায় রেখেই কমোডের এই নামকরণ।
শিল্পী ক্যাটেলানকে এমন নামকরণের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু বলেছিলেন, ‘‘২০০ ডলারের লাঞ্চ করুন বা ২ ডলারের হট ডগ খান, টয়লেটের বিচারে ফল কিন্তু একই!’’