সিরিয়ার অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছবি: পিটিআই।
সিরিয়ার উপর চাপানো দীর্ঘ দিনের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা আগেই জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, সিরিয়ার অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তাঁর বৈঠক করারও সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছিল, পশ্চিম এশিয়া সফরের সময়ই ট্রাম্প বুধবার সৌদি আরবে সিরিয়ার অন্তর্বতী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুভেচ্ছা সাক্ষাতে সম্মত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে (ভারতীয় সময়) আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করলেন ট্রাম্প।
বাশার আল-আসাদের সময়েই সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল আমেরিকা। এখন আর সিরিয়ার গদিতে বাশার নেই। আহমেদের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে সে দেশে। সিরিয়ার রাজনৈতিক পালাবদলের পর এ বার তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার কথা জানান ট্রাম্প। সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তখনই নিষেধাজ্ঞা তোলার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সলমনকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ায় নতুন সরকার এসেছে। আশা করি, তারা দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে সফল হবে। আমি সিরিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেব। দেশটি যাতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারে, সেই সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’’
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে প্রকাশ্যে আসতেই সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে উল্লাসের ছবি ধরা পড়ে। সাধারণ মানুষের নাচ, উদ্যাপনের টুকরো টুকরো ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়ায়। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক।