ওরা পাথর ছুড়লে গুলি চালাব: ট্রাম্প

বেআইনি ভাবে কেউ দেশে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়লে পাল্টা জবাব দেবেন গুলি করে— শরণার্থী-প্রশ্নে নিজের কট্টর অবস্থান আরও স্পষ্ট করে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করা বাহিনীকে এই বার্তাই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

বেআইনি ভাবে কেউ দেশে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়লে পাল্টা জবাব দেবেন গুলি করে— শরণার্থী-প্রশ্নে নিজের কট্টর অবস্থান আরও স্পষ্ট করে মেক্সিকো সীমান্তে মোতায়েন করা বাহিনীকে এই বার্তাই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, মধ্য আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে হাজার হাজার শরণার্থী মিছিল করে ঢুকছে। তাঁরাই ‘হিংস্র ভাবে বারবার’ মেক্সিকোর পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ছে বলে দাবি ট্রাম্পের। তাই তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এটা চলতে দিতে পারি না। ওরা আমাদের বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়লে, আমাদের বাহিনীও পাল্টা জবাব দেবে। আমি ওদের বলেছি, পাথরকে রাইফেল মনে করুন।’’

অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশ রুখতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এই বিতর্কিত নীতির কথা বললেন। এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণ করতে গিয়ে ট্রাম্প শরণার্থীদেরও বিঁধেছেন। তাঁর মতে, ডেমোক্র্যাটরা সীমান্ত খুলে দিয়ে এক গুচ্ছ ‘জেদি’ ‘ধর্ষক’ লোকজনকে ঢুকতে দিতে চায়। এখন ট্রাম্প বলছেন, এ বার থেকে সীমান্তে এসে কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, নীতি পাল্টানো হবে। সীমান্তে কাউকে ধরা হলে তাঁকে তাঁবু বা অন্য কোথাও রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। যাতে তাঁকে সেই জায়গা থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া যায় অথবা

Advertisement

অনুরোধ গ্রাহ্য হলে এ দেশে তিনি ঢুকতে পারেন।

সমালোচকদের মতে, রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের এই নীতি মার্কিন আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিন্তু ট্রাম্প ও সবে কান দিচ্ছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা পুরোপুরি বৈধ। আমরা সীমান্তে লোকজনকে আটকাচ্ছি। এটা অনুপ্রবেশ, অথচ সেটাকে কেউ প্রশ্ন করছে না। এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহেই প্রশাসনিক নির্দেশ আনা হবে।’’

আরও পড়ুন: মারা গেল সেই ‘উলঙ্গ’ শিশু

ট্রাম্পের এই সব হুঁশিয়ারির মধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে সীমান্তে আটকানো হয়েছে মাত্র ৪ লক্ষ মানুষকে। ২০০০ সালে যে সংখ্যাটা ছিল ১৬ লক্ষ।

আরও পড়ুন: ধ্বংসের পথেই কি হাঁটব আমরা? ‘না’ বলুক মঙ্গলবার

ট্রাম্প অবশ্য নিজেকে অভিবাসন-বিরোধী বলতে নারাজ। তাঁর দাবি, তিনি অভিবাসনে নিয়ন্ত্রণ আনতে চান। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘যাঁরা আইন মেনে এ দেশে রয়েছেন, সেই অসাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত গণ-অভিবাসন অন্যায্য। আইন মেনে কেউ অনেক বছর অপেক্ষা করছেন, সুযোগ পাননি। তাই তাঁদেরই আগে সুযোগ দেওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন