সুর পাল্টে ট্রাম্প গুণ গাইলেন ভারতের

হালে যা-ই হয়ে থাক, হোয়াইট হাউসের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই ভারতকে বন্ধু দেশ বলে মনে করেন। ক্ষমতায় আসার পরে চিন, রাশিয়া কিংবা পাকিস্তান নয়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকেই প্রথম ফোনটা করেছিলেন ট্রাম্প।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

ছবি: এএফপি।

মাস ফুরোনোর আগেই বদলে গেল সুর। এ বার বেশ খানিকটা মোলায়েমও। জুনের গোড়ায় প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘এই চুক্তি থেকে অযথা ফায়দা লুটছে ভারত-চিনের মতো দেশ।’’ আজ অবশ্য তাঁরই এক কর্মকর্তা জানালেন, ভারত সম্পর্কে ট্রাম্প অত্যন্ত উচ্চ ধারণা পোষণ করেন। গোটা বিশ্বেই ভারতের একটা সদর্থক প্রভাব আছে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট।

Advertisement

তবে যে শোনা যাচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট হওয়া ইস্তক ট্রাম্প ভারতকে বরাবর উপেক্ষাই করে এসেছেন! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের আগে ঠিক আগে সেটাও সম্পূর্ণ ভুল বলে জানালেন ওই মার্কিন কর্তা। আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বার মুখোমুখি বসার কথা মোদীর। ট্রাম্প প্রশাসনের হঠাৎ সুর বদলের পিছনে সেটাই আসল কারণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।

হালে যা-ই হয়ে থাক, হোয়াইট হাউসের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই ভারতকে বন্ধু দেশ বলে মনে করেন। ক্ষমতায় আসার পরে চিন, রাশিয়া কিংবা পাকিস্তান নয়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকেই প্রথম ফোনটা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তার পর ট্রাম্প যে ভাবে দফায় দফায় এইচ-১বি ভিসা, আউটসোর্সিং বন্ধ করা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিলেন, তাতে চিন্তা বেড়েছিল নয়াদিল্লির। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর ইঙ্গিতও মিলেছিল। কিন্তু এতে ভারতকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে এখন মানতে নারাজ হোয়াইট হাউসের ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘সবে তো ছ’মাস ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন। এরই মধ্যে দু’বার ফোনে কথা হয়েছে মোদীর সঙ্গে। দ্বিতীয় ফোনটাও করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে। উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফলপ্রকাশের পরে। এতে কি স্পষ্ট হয় না যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে আমাদেরও যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে?’’

Advertisement

ট্রাম্প-মোদীর প্রথম বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়, তা নিয়ে উৎসাহে ফুটছে দিল্লিও। হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার জানিয়েছেন— সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতার। এইচ-১বি ভিসা নিয়েও কি কথা হতে পারে? এর উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক মার্কিন কর্তা জানিয়েছেন, ভারত আগ বাড়িয়ে এই প্রসঙ্গ তুললে জবাব দিতে তৈরি আমেরিকা।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে পৌঁছে যাওয়া কথা মোদীর। বৈঠকের পরে নৈশভোজ রয়েছে। হোয়াইট হাউসে এর আগে কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে খাবারের টেবিল ভাগ করে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই এটাকেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলছেন ট্রাম্পের কর্মকর্তারা। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সফরের গুরুত্ব মানছে নয়াদিল্লিও। ট্রাম্পের সঙ্গে মোলাকাত করতে মোদী নিজেও যে মুখিয়ে, টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন সফরের আগেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন