টানা বিক্ষোভেও একবগ্গা ট্রাম্প

অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অরেঞ্জ কাউন্টির কোস্টা মেসার পরে এ বার সান ফ্রান্সিসকোর বার্লিংগেম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্লিংগেম (ক্যালিফোর্নিয়া) শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ০৩:৫৫
Share:

অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অরেঞ্জ কাউন্টির কোস্টা মেসার পরে এ বার সান ফ্রান্সিসকোর বার্লিংগেম।

Advertisement

শুক্রবার সেখানকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে দলীয় কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু সভা শুরুর আগেই হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ট্রাম্প-বিরোধীরা। ঠিক যেমনটা বৃহস্পতিবারও দেখা গিয়েছিল কোস্টা মেসায়। কিন্তু এখানে বিক্ষুব্ধরা ডিম ছুড়তে শুরু করে। একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের উপরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে হোটেলে ঢোকার পিছন দিকের রাস্তা ধরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যখন মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নেন, ঘড়ির কাঁটা তত ক্ষণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।

কী বললেন ট্রাম্প? টানা দু’দিনের বিক্ষোভে জেরবার দশা সমর্থকদের। প্রার্থী তবু মেজাজেই। মাইক হাতে নিয়েই তাঁর মন্তব্য— ‘‘ভয়াবহ অবস্থা। কী ভাবে যে ঢুকলাম হোটেলে! যেন একটা সীমান্ত পেরিয়ে এলাম মনে হচ্ছে।’’ বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ট্রাম্পকে ঘিরে ক্ষোভ রয়েছে লাতিন আমেরিকার জনগোষ্ঠীর মধ্যেও। ট্রাম্প অবশ্য কোনও দিকেই কান দিচ্ছেন না। তাঁর পাখির চোখ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পাত্তা দিচ্ছেন না বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকেও। এখনও পর্যন্ত ভোটের যা অঙ্ক, তাতে রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পই সব চেয়ে এগিয়ে। দলীয় মনোনয়ন পেতে তাঁর প্রয়োজন আর ২৫০-র মতো ডেলিগেটের সমর্থন। এখনও ভোট বাকি রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রদেশে। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রাইমারি ৭ জুন। সূত্রের খবর, এখানেও জিততে মরিয়া ট্রাম্প। মে-র শুরু থেকেই তিনি প্রচারে নামছেন। তবে শুক্রবারের দলীয় কনভেনশনে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ভোট নিয়ে প্রায় কিছুই বলেননি। বরং এক হাত নেন দলেরই মধ্যে তৈরি হওয়া ‘দ্বিতীয় শিবিরকে’। ট্রাম্প সমর্থকদের একাংশের দাবি— মিসৌরি থেকে শুরু করে শিকাগো, আরিজোনা এবং হালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে বিক্ষোভ, সে সবের পিছনে ট্রাম্প-বিরোধী রিপাবলিকান নেতাদের হাত
রয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন