‘ভণ্ড’ প্রতিষ্ঠানে নেই আমেরিকা

খাস আমেরিকায় বাবা-মায়েদের কাছ থেকে শিশুদের কেড়ে নিয়ে কার্যত খাঁচায় পুড়ে রাখার জন্য বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ০৩:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকে সরে দাঁড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। যুক্তি, মানবাধিকারের নামে মস্করা চলে ওখানে। ওরা অকারণেই ইজরায়েল-বিরোধী। ঘটনাটি ঘটল এমন সময়ে যখন, খাস আমেরিকায় বাবা-মায়েদের কাছ থেকে শিশুদের কেড়ে নিয়ে কার্যত খাঁচায় পুড়ে রাখার জন্য বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই চিন-সহ বিশেষ কিছু দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বড় মুখে নিন্দা করে এসেছে। এ বার প্যালেস্তাইনিদের নিগ্রহের জন্য মানবাধিকার পরিষদে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রস্তাব পাশ হতেই ফুঁসে উঠল আমেরিকা। মানবাধিকার কর্মীদের বড় অংশের মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘অদূরদর্শী’। মানবাধিকার নিয়ে নিজের অবস্থানকেই লঘু করে ফেলল আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই সিদ্ধান্তে হতাশ। রাশিয়ার মতে, একতরফা ও স্বার্থপর সিদ্ধান্ত। আমেরিকা আসলে নিজের স্বার্থ পূরণে ও অপছন্দের দেশগুলিকে শায়েস্তা করতে এই পরিষদকে তাদের বশংবদ হাতিয়ার করে তুলতে চেয়েছিল।

রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার দূত নিকি হ্যালি তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘ওটা রাজনৈতিক পক্ষপাতের একটা নোংরা আখড়া। একপেশে ভাবে ইজরায়েলকে নিশানা করে। অন্যান্য দেশেও যে নির্যাতন হচ্ছে, তা নিয়ে গা করে না। নজর নেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অবিরাম হিংসার দিকেও। এমন ভণ্ড সংস্থার বক্তৃতা শুনতে রাজি নই আমরা।’’ এ দিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো-কে পাশে নিয়ে নিকি অভিযোগ করেন, ‘‘আমেরিকা পরিষদটির সংস্কারে যে সব প্রস্তাব দিচ্ছে, সেগুলি মানা হচ্ছে না। উল্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই এই পরিষদে সক্রিয়।’’ পম্পেয়োর বক্তব্য, ‘‘স্বৈরতন্ত্রী শাসক ও চিন-কিউবা-ভেনেজুয়েলার মতো যে সব দেশের মানবাধিকার রক্ষার রেকর্ড খুবই খারাপ, তাদেরও এর প্রতিনিধি।’’

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস তাঁর সচিবের মাধ্যমে জানিয়েছেন, মানবাধিকার রক্ষায় এই পরিষদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এতে আমেরিকা থাকলে ভাল হত। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনার জে আর এ হুসেন বলেন, ‘‘হতাশাজনক। তবে অবাক হইনি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এই পরিষদ ছাড়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।’’ ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর কর্তা কেনেথ রথের খেদ, ‘‘ট্রাম্পের মতে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মানে সিরিয়ার নাগরিক বা মায়ানমারের সংখ্যালঘুদের দুর্দশাকে উপেক্ষা করে চলা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন