প্রতিবাদ, ক্ষোভের মুখেও ট্রাম্প অনড়

ওখানে ক্যাটকেটে হলুদ। আর এখানে নিয়ন সবুজ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

ওখানে ক্যাটকেটে হলুদ। আর এখানে নিয়ন সবুজ।

Advertisement

জ্বালানির দাম কমানো-সহ একগুচ্ছ আর্থিক সংস্কারের দাবিতে ফরাসি প্রেসি়ডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদ। গত কাল আমেরিকায় জ্বলজ্বলে সবুজ জ্যাকেট পরে হোয়াইট হাউস অভিযানে নেমেছেন ফেডারেল সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। স্লোগান তুলেছেন— ‘বেতন চাই। আর ছুটি নয়, কাজ চাই।’ শাট ডাউনের রেকর্ড গড়তে চলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু অনড়ই। দেশের দক্ষিণ সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে টেক্সাস থেকে ফের জানিয়েছেন, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তুলতে প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারি করবেন। তা সে ডেমোক্র্যাটদের তরফে যতই বাধা আসুক না কেন!

আগামিকাল ২২তম দিনে পা রাখছে শাট ডাউন। ১৯৯৫-’৯৬-এর পরে এটাই রেকর্ড। ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে। প্রায় ৮ লক্ষ কর্মী বেতন পাচ্ছেন না। সবুজ জ্যাকেট পরে হোয়াইট হাউস অভিযানে নামা এক বছর বাষট্টির সরকারি চাকুরে বললেন, ‘‘অবসর-পরবর্তী জীবনের কথা ভেবে যা জমানো ছিল, এ বার তাতেও হাত পড়ছে। কী করব? খেতে তো হবে!’’ অনেকে আবার অনলাইনে হাত পাতাও শুরু করেছেন। ফ্লরিডা, নিউ ইয়র্কের মতো নানা প্রান্তে পথে নামতে দেখা গিয়েছে মানুষকে।

Advertisement

তবে সূত্রের খবর, সরকারি চাকুরেদের এই আন্দোলনকেও বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট। তাঁর পাখির চোখ, প্রাচীর তৈরিতে বাজেটের ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ আদায় করে নেওয়া। কাল এ জন্যই সুইৎজ়ারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকের বদলে ট্রাম্প চলে যান টেক্সাসে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই জরুরি অবস্থা জারির হুমকি দেন।

প্রাচীর নিয়ে গোড়া থেকেই সুর চড়িয়ে আসছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাটরা। কূটনীতিক মহলের একাংশের দাবি, কংগ্রেসকে এড়াতেই প্রেসিডেন্ট তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জরুরি অবস্থা জারি করতে চাইছেন। গত তিন দিনে রোজ এক বার করে এ নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। দেশের অচলাবস্থা কাটাতে দরবার করছেন রিপাবলিকানরাও। অনেকে আবার খোলাখুলি জরুরি অবস্থার পক্ষেও সওয়াল করছেন। ট্রাম্প এ নিয়ে কাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘৩০-৩৫ বছর ধরে আমরা এই বোঝাটা বয়েই চলেছি। তাই আমি দেওয়াল তুলে স্থায়ী সমাধান চাইছি।’’

কিন্তু তবু চিঁড়ে ভিজছে কই! ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এতে করদাতাদের অর্থ ধ্বংস ছাড়া কিছুই হবে না। সূত্রের খবর, ট্রাম্পকে রুখতে আজ-কালের মধ্যেই বিশেষ আইন পাশের জন্য ঝাঁপাবে ডেমোক্র্যাটরা।

জাতির উদ্দেশে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার রনিল সিংহকে ঢাল করেছিলেন ট্রাম্প। কাল টেক্সাসে প্রাচীর সংক্রান্ত গোলটেবিল বৈঠকে প্রেসিডেন্টের ঠিক পাশের আসনেই ছিলেন রনিলের ভাই রেগি সিংহ। পরে তিনি বলেন, ‘‘প্রাচীর তুলতেই হবে। প্রেসিডেন্টের প্রতি আমার পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন