তিতিবিরক্ত প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশও। এ বার ঘুরপথে মাঠে নামতে দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি পরামর্শদাতাদের। আজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দাবি— ট্রাম্পই নাকি তাঁদের বলেছেন, প্রেসি়ডেন্টের বিশেষ ক্ষমতাবলে এ থেকে মুক্তির একটা উপায় খুঁজতে। যাতে পরিবার, ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা এমনকী নিজেকেও বেকসুর খালাস ঘোষণা করতে পারেন।
সূত্রের খবর, মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের নির্দেশে এফবিআই-এর বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার ট্রাম্পের ব্যবসায়িক নথি ঘাঁটতে শুরু করেছেন। গত মাসে এই মুলারকেই ছাঁটতে চেয়েছিলেন প্রেসি়ডেন্ট। পরে এ নিয়ে রিপাবলিকানরাও কংগ্রেসে সুর চড়ানোয় পিছু হটতে বাধ্য হন। মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, তদন্তে প্রভাব ফেলতে না পেরে এ বার তাই আইনি পথে দিশা খুঁজছেন ট্রাম্প। কিন্তু এমনটা কি আদৌ সম্ভব? প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই জন্মসূত্রে ভারতীয় কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, ‘‘প্রশাসনের হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতেই প্রেসি়ডেন্টকে এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি এটাকে নিজের ঢাল বানাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট।’’ তাই কোন কোন ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট এই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন, তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান কৃষ্ণমূর্তি। এই পথে হাঁটতে চেয়ে ট্রাম্প ফেডেরাল তদন্তকে পিছন থেকে ছুরি মারছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।