রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে ‘হতাশ’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এশিয়া সফরে রওনা হয়ে বিমান থেকে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করে আর তিনি সময় নষ্ট করতে চান না। তবে একটি শর্ত পূরণ হলে বৈঠক হতে পারে ট্রাম্প ও পুতিনের। সে কথাও জানিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। বার বার পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেও যুদ্ধ থামাতে পারেননি ট্রাম্প। কোনও সমঝোতা হয়নি। সম্প্রতি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ট্রাম্প ও পুতিনের একটি বৈঠক হতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু তা-ও শেষ পর্যন্ত হয়নি। ট্রাম্পকে রবিবার বিমানে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি আর সময় নষ্ট করতে চাই না।’’ কখন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন? ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাকে আগে দেখতে হবে, আদৌ কোনও চুক্তি হচ্ছে কি না। পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভাল। কিন্তু এই বিষয়টি হতাশাজনক।’’ অর্থাৎ, যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি-চুক্তি করা হবে, এই আশ্বাস পেলেই ট্রাম্প পুতিনের মুখোমুখি বসতে রাজি, নচেৎ নয়।
গত ১৫ অগস্ট শেষ বার দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হয়েছিল। আলাস্কায় দীর্ঘ বৈঠকের পরেও যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেনি রাশিয়া বা ইউক্রেন। আমেরিকার মধ্যস্থতায় লাভ হচ্ছে না। উল্টে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। এর ফলে সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে।
যুদ্ধ থামাতে গেলে শান্তির স্বার্থে যে ইউক্রেনকেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে আপস করতে হবে, ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন, যে ভূখণ্ড নিয়ে পুতিনের সঙ্গে জ়েলেনস্কির বিবাদ, তা দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দিলে আপাতত সমাধান হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শনিবারও ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাতে অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে, রাশিয়ার মোকাবিলার জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করতে তৎপর হয়েছে ইউক্রেনও। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া সফর শুরুর আগে রাশিয়া নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প।