পশ্চিমকে বাঁচান, আহ্বান ট্রাম্পের

সেই হাওয়া কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘পোলিশ ইতিহাস থেকেই আমরা জানি পশ্চিমী শক্তির টিকে থাকার ক্ষেত্রে কৌশলটাই একমাত্র পথ নয়, মানুষের বেঁচে থাকার সদিচ্ছার উপরেও তা নির্ভরশীল। তা এখন সব চেয়ে মৌলিক প্রশ্নটা হচ্ছে, পশ্চিম নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে আগ্রহী কি না।’’ এই সূত্রে ট্রাম্প বিঁধেছেন রাশিয়াকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়ারশ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৭ ০২:৩০
Share:

মিত্র দেশে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তৃতায় আজ বললেন, পশ্চিমী সভ্যতা বিপন্ন। আর পোলান্ডের মতো দেশ সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পশ্চিমী স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে বলে আশাও প্রকাশ করলেন তিনি।

Advertisement

কাল হামবুর্গে জি২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে পোলান্ডে দাঁড়িয়ে কিছুটা সমালোচনা করলেন রাশিয়ারও। জি২০-র সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করার কথা। তার আগে পোলান্ডেই ট্রাম্প রাশিয়ার উদ্দেশে বলে গেলেন, ‘দায়িত্বশীল দেশগুলির গোষ্ঠীতে যোগ দিক তারা।’

১৯৪৪ সালে নাৎসি দখলদারদের বিরুদ্ধে ওয়ারশ বিদ্রোহে প্রায় ২ লক্ষ পোলিশ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছিল। ক্রাসিনসকি স্কোয়ারে তাঁদের স্মৃতিসৌধের সামনে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা দেন। ট্রাম্পের মতোই এ দেশের রক্ষণশীল সরকার অভিবাসন নিয়ে কড়া নীতি মেনে চলারই পক্ষপাতী। উগ্র জাতীয়তাবাদের দিকেই পাল্লা ভারী।

Advertisement

সেই হাওয়া কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘পোলিশ ইতিহাস থেকেই আমরা জানি পশ্চিমী শক্তির টিকে থাকার ক্ষেত্রে কৌশলটাই একমাত্র পথ নয়, মানুষের বেঁচে থাকার সদিচ্ছার উপরেও তা নির্ভরশীল। তা এখন সব চেয়ে মৌলিক প্রশ্নটা হচ্ছে, পশ্চিম নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে আগ্রহী কি না।’’ এই সূত্রে ট্রাম্প বিঁধেছেন রাশিয়াকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ইউক্রেন এবং অন্য দেশকে পঙ্গু করে দেওয়ার কর্মসূচি বন্ধ করুক ওরা। সিরিয়া আর ইরানে কট্টর শাসকদের সমর্থন করাটাও বন্ধ করতে হবে ওদের।’’ যদিও ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, ‘‘রাশিয়া কারও পথে বাধা সৃষ্টি করছে না। আর ঠিক এই বিষয়গুলি স্পষ্ট করতেই জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’’

আরও পড়ুন: কিমকে ফের হুঁশিয়ারি আমেরিকার

পোলান্ডে বক্তৃতায় উঠেছে উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গ। উঠেছে মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের কথা। এসেছে সিরিয়ার কথাও। বাশার আল আসাদের দিকে ট্রাম্পের তির, ‘‘মানুষের জীবনের প্রতি যারা মূল্য দেয়, তারা কখনও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার সহ্য করতে পারে না।’’ বাদ যায়নি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের কিছু বিশেষ চ্যানেলকে সমালোচনা করাও।

কথা হয়েছে মার্কিন গ্যাস অর্থনীতি নিয়েও। ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজার এখন বাড়াতে চাইছে আমেরিকা। ট্রাম্প ওয়ারশ-এ এসে তিন সাগরের সম্মেলনে (বাল্টিক, আড্রিয়াটিক এবং কৃষ্ণ সাগর) যোগ দেন। পোলান্ড সরকারও রাশিয়ার উপর থেকে শক্তি-নির্ভরতা কমাতে চাইছে। এ দেশে গত মাসেই প্রথম এসে পৌঁছেছে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসবাহী মার্কিন জাহাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন