কিমকে চাপ দিতেই ট্রাম্পের হুঙ্কার: টিলারসন

মালয়েশিয়াও এক পথে হাঁটছে। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সিঙ্গাপুর। একই কাজ করেছে ফিলিপিন্স।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০২
Share:

মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন। —ফাইল চিত্র।

উত্তর কোরিয়াকে ‘সন্ত্রাসে মদতদাতা রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে গত কালই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের দেশের উপরে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ইঙ্গিতও ছিল। মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন আবার বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার উপরে চাপ বাড়াতেই এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। টিলারসনের মতে, আমেরিকা চায়, সাম্প্রতিক কাজকর্মের জন্য পিয়ংইয়ং নিজের দায় স্বীকার করুক।

Advertisement

ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরে টিলারসন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘ধরে নিন এটা শান্তিপূর্ণ পথে চাপ তৈরির কৌশল। এ কাজে আমেরিকা পাশে চাইছে অন্য দেশকেও।’’ এ প্রসঙ্গে টিলারসন মনে করিয়েছেন ভিয়েতনামের কথা। সে দেশে সফরের সময়ে আমেরিকার বার্তা দেয়, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনও কার্যকলাপে যেন ভিয়েতনাম উদ্যোগী না হয়।

মালয়েশিয়াও এক পথে হাঁটছে। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সিঙ্গাপুর। একই কাজ করেছে ফিলিপিন্স। সুদানের সরকার এত দিন উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে সামরিক অস্ত্র কিনত, তারাও কেনার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে। নানা দেশ থেকে এমন চাপ তৈরি হলে সেটা কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন মার্কিন বিদেশসচিব।

Advertisement

তবে উত্তর কোরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের নয়া হুঁশিয়ারি শুনে চিন ফের আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট মেটানোর ডাক দিয়েছে। গোড়া থেকেই অবশ্য বেজিংয়ের অবস্থান এটাই। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আলোচনায় ফিরুক।’’ যদিও টিলারসনের বার্তায় স্পষ্ট যে আমেরিকা চায়, বাকি দেশগুলোর মতো চিনও উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চরম অসহযোগিতা দেখাক। চিন সফরেও মার্কিন প্রশাসন সে দাবি তুলেছে বলে জানান তিনি। চিন নিয়ন্ত্রিত তেলের পাইপ থেকেই উত্তর কোরিয়ার শোধনাগার ভর্তি হয়— এই মন্তব্য করে মার্কিন বিদেশসচিব বেজিংয়ের উদ্দেশে বলেছেন, চাইলে চিন একাই কিমের দেশের উপরে যথেচ্ছ চাপ তৈরি করতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার উপরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নয়া নিষেধ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও চিন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি টিলারসনের। যদিও মঙ্গলবার বেজিংয়ের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে তা মেলেনি। এ বার কিম জং উন কবে মুখ খোলেন, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন