Donald Trump on USAID

‘মোদীকে সম্মান করি, কিন্তু ভারতকে এত টাকা কেন দেব?’ ১৮২ কোটি অনুদান বাতিল করে মন্তব্য ট্রাম্পের

সম্প্রতি মোদী আমেরিকা সফর সেরে এসেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্প জানান, তিনি ভারত এবং মোদীকে সম্মান করেন। কিন্তু ১৮২ কোটি অনুদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১২
Share:

আমেরিকা সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে ১৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার) অনুদান দিত আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই অনুদান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় ইলন মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর কিছু দিন আগে সেই অনুদান বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। সেই ঘোষণাকে সমর্থন করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন ভারতকে এত টাকা আমরা দিতে যাব? ওরা তো আমাদের থেকে অনেক টাকা কর নেয়!’’

Advertisement

সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফর সেরে এসেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়েছে। ভারত এবং মোদীকে সম্মান করেন, জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার কেন ভারতকে দিচ্ছি? ওদের অনেক টাকা আছে। আমাদের থেকে ওরা অনেক কর নেয়। ওদের করের পরিমাণ এত বেশি বলে আমরা সে ভাবে বাণিজ্য করতে পারি না।’’ এর পরেই মোদীর কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বলেন, ‘‘ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাই বলে ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার?’’ অনুদান বাতিলের নথিতে স্বাক্ষরের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

গত রবিবার ভারতের খাতে এই অনুদান বন্ধের কথা ঘোষণা করেছিল মাস্কের দফতর। শুধু ভারত নয়, তারা জানিয়েছিল, সারা বিশ্বেই বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাতিল করা হচ্ছে। মাস্কের দফতর এই সমস্ত বরাদ্দ, তাদের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করেছে। তাদের যেগুলি বাড়তি মনে হয়েছে, সেগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোপ পড়েছে মোট ৭২ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার অনুদানে। ভারতের পড়শি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন খাতে ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৫১ কোটি টাকারও বেশি) অনুদান দিত আমেরিকা। তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই বিপুল পরিমাণ মার্কিন অনুদানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড)-কে ‘মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ বলে উল্লেখ করেছেন। সঞ্জীব প্রধানমন্ত্রী মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলেরও সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই টাকা কার হাতে গিয়েছে, তা জানতে আমি আগ্রহী। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ টাকাই বা কার হাতে গিয়েছে? ইউএসএইড মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।’’ তাঁর এই মন্তব্যের কয়েক দিন পরেই ট্রাম্প এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন।

আমেরিকার এই অনুদানকে ‘ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বহিরাগতের হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে। এর দায় পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের উপরে চাপিয়েছে তারা। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার কুরেশি জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন, এই ধরনের কোনও বিদেশি অনুদান ভারতে আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement