ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকাকে কিছুতেই ‘শরণার্থীদের ঘাঁটি’ হতে দেবেন না বলে ফের শাসানি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতির ফলে মার্কিন সীমান্তে শরণার্থী শিশুদের তাদের মা-বাবার থেকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প-সহ অনেকেই বলছেন, এই নীতি ভয়ঙ্কর অমানবিক। অবিলম্বে পাল্টানো হোক। আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি-ও বলেন, ‘‘পরিবার থেকে এ ভাবে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় আমরা খুবই চিন্তিত। এ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।’’ এর মধ্যেই আমেরিকা রাষ্ট্রপু়্ঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ।
কিন্তু ট্রাম্প শুনছেন কই! কালই আত্মপক্ষ সমর্থনে এক গাদা টুইট করেছিলেন তিনি। আজ হোয়াইট হাউসে আরও স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘‘আমেরিকাকে কিছুতেই শরণার্থীদের ঘাঁটি হতে দেব না। আমার জমানাতে তো নয়-ই। ইউরোপের কী অবস্থা হয়েছে, আপনারা তো দেখছেন।’’ প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘‘শিশুদের ব্যবহার করে সীমান্ত পার হচ্ছে সব চোর, খুনি আর ডাকাতের দল। এরা আমাদের দেশের বিপুল ক্ষতি করবে। বিপর্যয় ডেকে আনবে। যে দেশের সীমান্ত শক্তপোক্ত নয়, সেই দেশের অস্তিত্বই সঙ্কটে।’’ প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের সমর্থনে তাঁর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব কার্স্টেন নিয়েলসেনও বলেন, ‘‘এই সব শিশুরা বেআইনি অভিবাসীদের জেল থেকে বার হওয়ার ছাড়পত্র মাত্র।’’ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যদিও শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আপনাদের দেশের সংস্কৃতি পাল্টে ফেলছে এই শরণার্থীরা। আপনারা এটা কী ভাবে হতে দিচ্ছেন!’’
আরও পড়ুন: ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা বেশি! দাবি রিপোর্টে