বছরের গোড়ায় তোপটা ছিল পাকিস্তানের দিকে। আর তার দু’দিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনুদান বন্ধের হুমকি দিলেন প্যালেস্তাইনকে। বললেন, সেখানকার নেতারা ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে রাজি না হলে মার্কিন সাহায্য বন্ধই থাকবে। ট্রাম্পের হুমকি শুনেই প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মামুদ আব্বাসের দফতর জানিয়েছে, জেরুসালেম ‘বিক্রির জন্য নয়।’
গত বছরই ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় পরিস্থিতি নতুন করে জটিল হয়ে ওঠে। কিন্তু স্বকীয়তা বজায় রেখে জেরুসালেম প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য নিয়েই বুধবার ফের ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ দিন প্যালেস্তাইনকে অনুদান বন্ধের হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে টুইটে তিনি বলেছেন, ‘‘জেরুসালেম বিতর্ক এখানে অপ্রাসঙ্গিক।’’ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শান্তি চুক্তিতে জেরুসালেমের চূড়ান্ত অবস্থা কী হবে, তা তাঁর আগেকার সিদ্ধান্তের উপরে (জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া) নির্ভর করবে না। এখানেই ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তিনি জেরুসালেম নিয়ে আগের মতো ততটা অনড় নেই? পরিস্থিতি জটিল বুঝে পিছু হটছেন? হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
ট্রাম্প টুইটে বিস্তারিত বলেছেন, ‘‘আমরা বছরে কয়েকশো কোটি ডলার দিই প্যালেস্তাইনকে। তার জন্য কোনও প্রশংসা বা সম্মান পাই না। ইজরায়েলের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত শান্তি চুক্তিতে যেতেও ওদের আপত্তি। যাদের এই সদিচ্ছাটুকুও নেই, তাদের কেন এই বিপুল অনুদান দেব আমরা?’’
ট্রাম্পের এই টুইটে বিরক্ত প্যালেস্তাইন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র আবু রুদেইনা বলেছেন, ‘‘জেরুসালেম বরাবরই প্যালেস্তাইনের রাজধানী। সোনা বা কয়েকশো কোটিতে তা বিক্রির হওয়ার নয়।’’ ট্রাম্পের পাল্টা তিনি বলেন, ‘‘আমরা শান্তি আলোচনার বিরোধী নই। কিন্তু সেটা আন্তর্জাতিক আইনের উপরে ভিত্তি করেই হবে।’’