তিনি কিছু দিন আগে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জটা কিছু লোকের ক্লাবঘর। আর সেই ক্লাবঘরের রক্ষণাবেক্ষণে খুব বেশি টাকা দিতেও তিনি রাজি নন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কথা অনেকেরই মনে ভয় ধরিয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড়সড় কাটছাঁট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন তাঁরা। সুতরাং সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভার বিশেষ ফোরামে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্প কী বলেন, তার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলে।
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণসভার সদর দফতরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প এ দিন আমেরিকার উপরে খরচখরচার চাপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বটে, রাষ্ট্রপুঞ্জের কাজকর্মের ধরন নিয়ে প্রশ্নও তুললেন। কিন্তু যতটা আশঙ্কা ছিল, ততটা সুর চড়ালেন না। যাঁরা ভেবেছিলেন, ট্রাম্প হয়তো রাষ্ট্রপুঞ্জকে একেবারে বাতিলের খাতায় ঠেলে দেওয়ার জন্যই সওয়াল করবেন, সেটা কিন্তু ঘটেনি। বরং নিজের নির্বাচনী প্রচারের স্লোগানকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মাথায় বসিয়ে দিয়ে ট্রাম্প ডাক দিলেন, ‘‘মেক দ্য ইউএন গ্রেট! রাষ্ট্রপুঞ্জকে মহতী বানাই আসুন!’’ লক্ষণীয় ভাবে পুরনো স্লোগান থেকে বাদ গেল একটা শব্দ— এগেন, আবার! অর্থাৎ ট্রাম্প বুঝিয়ে দিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জ কোনও দিনই বিরাট কিছু ছিল বলে তিনি মনে করেন না। তাকে এই প্রথম বিরাট বানিয়ে তুলতে হবে!
কী ভাবে? ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিকতা নিয়ে, খরচের বাহুল্য নিয়ে। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের কাজকর্মের পরিচালনায় অনেক গলদ আছে। সুতরাং বড় ধরনের সংস্কার দরকার। আর রাষ্ট্রপুঞ্জের বাজেটের ২২ শতাংশ যে আমেরিকা বহন করে, শান্তিবাহিনীর ২৮.৫ শতাংশ খরচ দেয়, দায়ভারের এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। মঙ্গলবার সাধারণসভায় গোটা বিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে বক্তৃতা করবেন ট্রাম্প। সেখানে উত্তর কোরিয়া এবং চিন নিয়েও তিনি মুখ খুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।