—ফাইল চিত্র।
গোড়ায় ঠিক হয়েছিল, ২৯ জানুয়ারি ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ১৬ জানুয়ারি তিনি চিঠি দিয়ে জানান, শাটডাউনের মধ্যে এমনটা হতে পারে না। প্রেসিডেন্ট বড় জোর লিখিত বিবৃতি দিতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প রাজি হননি। আজ তাই স্থানীয় সময় রাত ৯টায় হাউসে যাচ্ছেন তিনি। ভারতীয় সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় বক্তৃতা দেবেন প্রেসিডেন্ট।
মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলা নিয়ে আজও হাউস তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। হোয়াইট হাউস যদিও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম দফার মেয়াদের দ্বিতীয়ার্ধে এসে ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের ঐকমত্য আদায়ে ঝাঁপাবেন। বলবেন অভিবাসন নিয়ে, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও। মূল লক্ষ্য থাকবে বিরোধীদের কাছে টানা।
কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, নিজের ইগো চরিতার্থ করতেই কৌশল বদলাচ্ছেন ট্রাম্প। এখন জরুরি অবস্থা জারির হুমকি নয়, ডেমোক্র্যাট ও দেশবাসীর আস্থা অর্জনেই জন্য বেশি মন দিচ্ছেন বলে অনেকের মত।
এই মুহূর্তে চিন অন্যতম মাথাব্যথা আমেরিকার। গত বছর থেকে শুরু হয়েছে বাণিজ্য-যুদ্ধ। আজ বক্তৃতাতেও ট্রাম্প চিনকে নিয়ে কথা বলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ মাসের শেষে তাঁর বৈঠক রয়েছে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। হোয়াইট হাউসের দাবি, সিরিয়া-আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এ নিয়েও কথা নিজের যুক্তি পেশ করবেন ট্রাম্প।