প্রথম তৃণভোজী সরীসৃপের খোঁজ

এমন জন্তু কি সত্যিই কোনও কালে পৃথিবীতে ছিল— চিন থেকে খুঁজে পাওয়া দু’টি প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করতে গিয়ে এই প্রশ্নই বার বার ঘুরে ফিরে আসছে পুরাতত্ত্ববিদদের মাথায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৬ ০২:৪৬
Share:

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এমনই দেখতে ছিল অ্যাটোপোডেন্টেটাস ইউনিকাস। ছবি: রয়টার্স।

এমন জন্তু কি সত্যিই কোনও কালে পৃথিবীতে ছিল— চিন থেকে খুঁজে পাওয়া দু’টি প্রাণীর জীবাশ্ম পরীক্ষা করতে গিয়ে এই প্রশ্নই বার বার ঘুরে ফিরে আসছে পুরাতত্ত্ববিদদের মাথায়।

Advertisement

কেন?

কারণ একে বা এর মতো আজব প্রাণীদের ছবি যে খালি ছোটদের গল্পের বইয়েই দেখতে পাওয়া যায়!

Advertisement

বছর কয়েক আগে চিনে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে পাওয়া যায় এই আজব প্রাণীর দুই জীবাশ্ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরীসৃপটির নাম অ্যাটোপোডেন্টেটাস ইউনিকাস। অর্থাৎ যার দাঁতের গঠন আজব এবং অদ্বিতীয়। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার লক্ষ বছর আগে তারা গভীর জলে চড়ে বেড়াত। তবে এখনও পর্যন্ত যে হাতে গোনা জলজ তৃণভোজী সরীসৃপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, এটি সব চেয়ে পুরনো বলে অনুমান তাঁদের।

জীবাশ্ম পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সরীসৃপটি আকারে প্রায় কুমিরের মতোই দীর্ঘ। রয়েছে একটি লম্বা লেজও। ছোট ছোট দু’টো হাত পা-ও রয়েছে, তবে তা শরীরের ভার বেশি বইতে পারে না বলেই ধারণা গবেষকদের। পাতলা চামড়া দিয়ে হাত পায়ের আঙুলগুলো জোড়া।

যেমন আজব দেহের আকার, তেমনই অদ্ভুত গঠন মাথার খুলিরও। জীবাশ্মে যে খুলি পাওয়া গিয়েছে তাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছিল না। তা সবিস্তার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, দেহের অনুপাতে মাথা ছিল অনেকটাই ছোট আর হাতুড়ির মতো চ্যাপ্টা। সেই সঙ্গে দাঁতের গঠন বলছে, গভীর জলের নীচে ছোট গাছপালা খেয়েই থাকত তারা।

অ্যাটোপোডেন্টেটাসের অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার পরে কেটেছে এক যুগ। গল্পের বইয়ের দৈত্যকায় প্রাণীটি যে এক সময় সত্যিই গভীর জলে দাপিয়ে বেড়াত, তা অজানাই থেকে যেত। যদি না ওই অদ্ভুত জীবাশ্মের খোঁজ পাওয়া যেত!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement