রিয়াধের হাসপাতালে কস্তুরীদেবী। ছবি: টুইটার।
কাজের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করেছিল সে। দাবি তুলেছিল মাইনে বাড়ানোর। আর সেই ‘অপরাধে’ তাঁর হাত কেটে ফেললেন গৃহস্বামী। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে। আহত ওই মহিলা এক জন ভারতীয় নাগরিক। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অপরাধীর কড়া শাস্তির দাবি করেছে ভারত।
আদতে তামিলনাডুর বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের কস্তুরীদেবী পরিচারিকার কাজ করতে রিয়াধে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই গৃহস্বামীর অত্যাচারের শিকার হন তিনি। প্রতিবাদ করায় মাঝেমধ্যেই জুটত মারধর। বিশাখাপত্তনম থেকে কস্তুরীদেবীর বোন বিজয়লক্ষ্মী বলেন, “কাজের সূত্রে এই প্রথম দেশের বাইরে গেছে কস্তুরী। দালাল মারফত কাজ জোটায় তাঁর মাইনের বেশ কিছুটা অংশ দিতে হত সেই দালালকেও।” অত্যন্ত গরীব পরিবার কস্তুরীদের। তাঁর স্বামী এবং এক ছেলে ক্ষেতমজুরের কাজ করে। সংসারের হাল ধরতেই রিয়াধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর সেখানেই ঘটল এই নারকীয় ঘটনা। বিজয়লক্ষ্মীর দাবি, “আমাদের জানানো হয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কস্তুরী। তখনই গৃহস্বামী তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়।” পালাতে গিয়ে বারান্দা থেকে পড়ে মেরুদণ্ডেও মারাত্মক চোট পেয়েছেন তিনি। রিয়াধের একটি হাসপাতালে আপাতত চিকিত্সা চলছে তাঁর।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, “ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরনের ঘটনা কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। সৌদির সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।” কস্তুরীর চিকিত্সার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্র। সে দেশের দূতাবাসকে ঘটনার দিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সৌদি আরেবর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।