ডোনাল্ড ও মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
রাষ্ট্রপুঞ্জে অঘটন! ডোনাল্ড ও মেলানিয়া ট্রাম্প পা রাখতেই আচমকা থমকে গেল চলমান সিঁড়ি! প্রথমে বিষয়টি মজার ছলে নিলেও এতে নাকি বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি। ঘটনাটিকে নিছক কাকতালীয় হিসাবে দেখছে না হোয়াইট হাউসও। তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি চলমান সিঁড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প ও মেলানিয়া। কিন্তু পা রাখা মাত্রই বন্ধ হয়ে যায় সিঁড়িটি। শুরুতে বিষয়টিকে মজার ছলেই নিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই ফের অঘটন! সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা করার শুরুতেই তাঁর টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর পরেই নাকি ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে ট্রাম্পের। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘যিনি এই টেলিপ্রম্পটারটি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তিনি বড় বিপদে পড়বেন।’’
পর পর দু’টি ঘটনাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের দোষ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘আমি সাতটা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছি। প্রত্যেক দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। অথচ রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছ থেকে কখনও একটা ফোনও পাইনি। বরং এদের থেকে যা পেয়েছি তা হল একটা খারাপ এসক্যালেটর, যা উপরে ওঠার সময় মাঝপথে থেমে গিয়েছে! ফার্স্ট লেডি পড়েও যেতে পারতেন, কিন্তু ভাগ্যবশত তিনি ভাল আছেন।’’
এর পরেই সরব হয়েছে হোয়াইট হাউস। সিঁড়িটি হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কোনও সাধারণ ত্রুটি না-ও হতে পারে। যদি রাষ্ট্রপুঞ্জের কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করে থাকেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হোক।’’
প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যম দ্য টাইম্স-এর একটি প্রতিবেদনের দাবি, ট্রাম্প আসার আগে নাকি রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে রসিকতা করছিলেন যে, ট্রাম্প উঠতে গেলেই বন্ধ করে দেওয়া হবে চলমান সিঁড়ি। তার পর মজার ছলে বলা হবে সংস্থার টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে! তবে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও জানা যায়নি।