শরণার্থী সঙ্কট

জায়গা কোথায়, দরজা খুলেও মুখে কুলুপ ইউরোপের

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সবুজ সঙ্কেত। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েই পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার আরও ১ লক্ষ ২০ হাজার শরণার্থীকে নতুন করে আশ্রয় দিতে রাজি হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রাসেলস শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫১
Share:

হাঙ্গেরিতে ঢোকার অপেক্ষায়। ছবি: রয়টার্স।

দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সবুজ সঙ্কেত। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েই পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার আরও ১ লক্ষ ২০ হাজার শরণার্থীকে নতুন করে আশ্রয় দিতে রাজি হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে কোন কোন দেশে এবং কী ভাবে জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। ইতালি এবং গ্রিস থেকে ৪০ হাজার শরণার্থীকে পুনর্বাসন দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছিল। আজ বৈঠকে তা নিয়েও ইতিবাচক সঙ্কেত মিলেছে। ৮ অক্টোবর ফের বৈঠকে বসবে ইইউ মন্ত্রিসভা। তাতেই সমাধানসূত্র মিলবে বলে আশা আন্তর্জাতিক মহলের।

Advertisement

কিন্তু পুনর্বাসনের জায়গা কোথায়? আর এক জন শরণার্থীকেও আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই হাত তুলেছে হাঙ্গেরি। প্রশ্ন উঠেছে গ্রিসের ভূমিকা নিয়েও। আশঙ্কা এ বার সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি। কারণ, দেশে নতুন শরণার্থী শিবিরের জন্য স্থানাভাবের কথা গত কালই জানিয়েছিলেন জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী। প্রাথমিক পর্যায়ের উদার নীতি থেকে সরে এসে জোর কদমে শুরু হয়েছে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণও।

এ বার সেই নীতি গ্রহণ করতে চাইছে অস্ট্রিয়াও। অস্ট্রিয়ায় সীমান্তে চাপ বাড়ছে প্রতিদিনই। হাঙ্গেরি থেকে আজও সে দেশে হাজার পাঁচেক শরণার্থী ঢুকে পড়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। অসহায়তার সুর ধরা পড়েছে অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী সেবাস্টিয়ান কুর্জের কথাতেও। তিনি আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘জার্মানির মতো আমাদেরও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা ছা়ড়া আর কোনও পথ নেই।’’ শরণার্থীদের দেশে ঢুকতে দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্তে তল্লাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নজরদারির বিষয়টিও অস্ট্রিয়া নিজেদের হাতেই রাখতে চাইছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বাড়তে থাকা শরণার্থী সঙ্কট সামাল দেওয়া নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভি়ড ক্যামেরন। হাউস অব কমন্‌সের বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবাইনের নেতৃত্বে কালই লন্ডনের পথে নামেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। মনে করা হচ্ছে, তারই জেরে আজ লেবাননে একটি সিরীয়দের উদ্বাস্তু শিবির ঘুরে আসেন ক্যামেরন। পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন শিবির থেকে আগামী ৫ বছরে অন্তত হাজার পাঁচেক শরণার্থীকে ব্রিটেনে জায়গা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লন্ডন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন