বিয়ের দিনে রোবট স্ত্রীর সঙ্গে।
বন্ধুদের সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু গার্লফ্রেন্ড খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এ দিকে বাড়ি থেকেও ক্রমাগত চাপ আসছে বিয়ের জন্য। অনেক চেষ্টাতেও উপযুক্ত পাত্রী না পাওয়ায় মনের দুঃখে তাই রোবটের গলাতেই মালা দিলেন এক ব্যক্তি!
ঘটনাটি ঘটেছে চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশে। ৩১ বছরের ঝেঙ্গ জিয়াজিয়া পেশায় ইঞ্জিনিয়র। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এক্সপার্ট হিসাবে একটি রোবট প্রস্তুতকারী সংস্থায় কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি নিজের হাতে তৈরি একটি ‘মেয়ে’ রোবটকেই বিয়ে করেছেন ঝেঙ্গ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিয়ের উপযুক্ত পাত্রী না পেয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্থির করেন রোবটকেই বিয়ে করবেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। ‘পাত্রী’ হিসাবে আস্ত একটা রোবট তৈরি করে ফেলেন ঝেঙ্গ। নাম দেন ইঙ্গইঙ্গ।
আরও পড়ুন: ভালবেসে একসঙ্গে দু’জনকে বিয়ে করলেন যুবক
ঝেঙ্গ জিয়াজিয়া নিজেই বানিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে
ঝেঙ্গের ইচ্ছা, রোবট স্ত্রী ইঙ্গইঙ্গকে আরও উন্নত করবেন তিনি। যাতে ঘরের সমস্ত কাজ করা থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে রাস্তায় ঘুরতে বেড়নো, তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কাজে পারদর্শী হয়ে ওঠে ইঙ্গইঙ্গ।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, চিনে দ্রুত হারে পুরুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে পাওয়া মাঝেমধ্যেই দুষ্কর হয়ে উঠছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০৩০ সালে গড়ে ৩ কোটি চিনা যুবককে পাত্রীর অভাবে অবিবাহিত জীবন কাটাতে হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩৫-৫৯ বছর বয়সের অবিবাহিত চিনা যুবকের সংখ্যা পৌঁছবে সাড়ে ২১ কোটির কাছে।
ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্সের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে চিনের জনসংখ্যার পারয় ৭১ কোটি পুরুষ এবং পারয় ৬৮ কোটি মহিলা। পুরুষ-নারীর সংখ্যার এই তারতম্যের ফলেই বিবাহপযোগী পাত্রীর সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে চিনে।
(ছবি: সংগৃহীত)