India-China Conflict

লাদাখে নির্মাণকাজে চিনের বাধার আশঙ্কা

। পূর্ব লাদাখে, লে-র চুসুল গ্রামের অদূরে পশু চরাতে গিয়ে চিনা সেনার থেকে বাধা পেয়েছিলেন ভারতীয় মেষপালকেরা। সে দিন চিনা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের রুখে দাঁড়ানোর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রশংসা পেয়েছিল ঠিকই।

Advertisement

সাবির ইবন ইউসুফ

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিষয়টা সামনে এসেছিল কয়েক দিন আগে। পূর্ব লাদাখে, লে-র চুসুল গ্রামের অদূরে পশু চরাতে গিয়ে চিনা সেনার থেকে বাধা পেয়েছিলেন ভারতীয় মেষপালকেরা। সে দিন চিনা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের রুখে দাঁড়ানোর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রশংসা পেয়েছিল ঠিকই। কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের মাটিতে কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে চিনা সেনা।

Advertisement

এ বার সেই অঞ্চলের নোমা এলাকায় দেশের সর্বোচ্চ যুদ্ধবিমান ক্ষেত্র তৈরির বিষয়ে চিন বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তীরে কাকজং উপত্যকায় ওই প্রস্তাবিত ক্ষেত্রটি তৈরি হওয়ার কথা। গত বছর সেপ্টেম্বরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় ওই বিমানক্ষেত্র তৈরির জন্য ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বর্ডার রোডস অর্গ্যানাইজেশনকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ২০ মাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই এলাকায় প্রতিদিনই প্রায় কোনও না কোনও ভাবে গতিবিধি বাড়াচ্ছে চিনা সেনা।

Advertisement

২০২০ সালে লাদাখের গলওয়ান সেক্টরে যে সমস্ত এলাকায় দখলদারি নিয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ বেধেছিল, তার মধ্যে রয়েছে কাকজংয়ের নিকটবর্তী ৩৫, ৩৬ ও ৩৭ নম্বর টহলদারি এলাকা। এখন সেখানে মাটির রানওয়ে হওয়ায় বিশেষ কয়েক ধরনের বিমান ছাড়া অন্যগুলি ওঠানামা করতে পারে না। প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কংক্রিটের পোক্ত রানওয়ে তৈরি হয়ে গেলে সেখানে সব ধরনের ভারী যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে। এখানে যুদ্ধবিমান ক্ষেত্রটি গড়া হলে ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী পদক্ষেপ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসন্ন গ্রীষ্মেই সেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনা সেনার আগ্রাসনে সেই কাজে বাধা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন