আছড়ে পড়ল ফ্লোরেন্স। বানভাসি নর্থ ক্যারোলিনা। শনিবার। ছবি সংগৃহীত।
শেষমেশ শনিবার ভোর রাতে আমেরিকার পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ল হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’। ঝড়ের তাণ্ডব আর লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে উপকূলের নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এটা অবশ্য সরকারি হিসেব। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উদ্দাম ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বহু গাছ। এত জোরে লাগাতার বৃষ্টি পড়ে চলেছে যে নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনার সবক’টি নদীই ভেসে গিয়েছে। বানভাসি হয়েছে প্রায় সব রাস্তাঘাটই। জলের তলায় চলে গিয়েছে কয়েক হাজার গাড়ি। বেশ কয়েকটি বাড়ি ও বহুতলের এক বা দু’তলা চলে গিয়েছে জলের তলায়।
গত ১০ সেপ্টেম্বরই প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ধরা পড়ে সমুদ্রগর্ভে ফ্লোরেন্স-এর শক্তি সঞ্চয়ের ছবি। মহাকাশ স্টেশনের পাঠানো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র ওঠে ত্রাহি ত্রাহি রব। মানুষজন উপকূল লাগোয়া এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন- ঝড়ে ‘কাঁপছেন’ সাংবাদিক, দিব্য হাঁটছেন বাকিরা, তুমুল হাসাহাসি টুইটারে
আরও পড়ুন- হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’-এর ভয়ে কাঁপছে আমেরিকার পূর্ব উপকূল
তবে তার পর বুধবার রাত থেকে ‘আসব আসব’ করেও উপকূলে আছড়ে পড়েনি ফ্লোরেন্স। শেষমেশ এল এ দিন ভোর রাতে। তবে ফ্লোরেন্স-এর সঙ্গী ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ অনেকটাই গিয়েছে কমে। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তরফে পূর্বাভাস ছিল, বৃহস্পতিবার ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হয়ে উঠে ‘ক্যাটেগরি-৪’ পর্যায়ে গিয়ে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলিতে আছড়ে পড়বে ওই হারিকেন। ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। কিন্তু বুধবার থেকেই হৃতবল হয়ে পড়ে হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’। ঝড়ের গতিবেগ কমে আসে ঘণ্টায় ১১০ মাইলে। ফলে, ভয়াবহতার নিরিখে কার্যত, কিছুটা ‘নিরীহ’ হয়ে পড়ে ‘ক্যাটেগরি-২’-এ নেমে যায় হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’-এর ‘স্টেটাস’।