ফ্লোরিডায় এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসের পরও প্রেসিডেন্ট ওবামা যদি ওই দু’টি শব্দ উচ্চারণ করতে না পারেন তা হলে পদত্যাগ করুন। মন্তব্য আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আমেরিকায় মুসলিমদের ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় বলেও যে মন্তব্য তিনি আগে করেছিলেন, আবার সেই অবস্থানে ফিরেই সুর চড়াতে শুরু করলেন ট্রাম্প।
ওই দু’টি শব্দ কী? ওই দু’টি শব্দ হল ‘চরমপন্থী ইসলাম’। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়, ‘চরমপন্থী ইসলাম’ এই মুহূর্তে আমেরিকার সামনে খুব বড় বিপদ। তা রুখতে মুসলিমদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে, তাই করে দেখাবেন বলে একাধিক বার ঘোষণাও করেছেন। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। মাঝে সেই অবস্থান কিছুটা নরম করেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী। কিন্তু ফ্লোরিডার নাইট ক্লাবে বীভৎস হামলার পর ফের সেই কট্টরবাদী অবস্থানে ট্রাম্প। আবার সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রমাণিত হল আমিই ঠিক বলেছিলাম। চরমপন্থী ইসলামই আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু।’’
ওবামাকে এ দিন সরাসরি আক্রমণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘মর্যাদাহানিকর ভাবে প্রেসিডেন্ট ওবামা আজ তাঁর মন্তব্যে ‘চরমপন্থী ইসলাম’ কথাটি উচ্চারণ পর্যন্ত করলেন না। শুধুমাত্র এই কারণেই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’
এর পরের টুইটে ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিলেন হিলারি ক্লিন্টন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘এই হামলার পরেও যদি হিলারি ক্লিন্টন ‘চরমপন্থী ইসলাম’ শব্দ দু’টি উচ্চারণ করতে না পারেন, তা হলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে তাঁর বেরিয়ে যাওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন:
ওমর মতিনের বাবার টিভি শো-এ তালিবানের পক্ষে সওয়াল, কৃতজ্ঞতাও!
মুসলিমদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া উচিত নয় বলে যে কথা এত দিন ধরে একাধিকবার ট্রাম্প বলেছেন, তা আর নতুন করে বলেননি তিনি। কিন্তু বলেছেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি যদি আমরা কঠোর এবং সতর্ক না হই তা হলে আমাদের দেশ বলতে আর কিছু থাকবে না।’’
একের পর এক টুইটে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। কখনও লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের নেতারা দুর্বল, আমি বলেছিলাম এ রকম হতে চলেছে— এর পর আরও খারাপ কিছু হবে।’’ তার পর লিখেছেন, ‘‘অরল্যান্ডোয় যা হয়েছে, তা সবে শুরু। আমাদের নেতৃত্ব দুর্বল এবং অকর্মণ্য। আগেই আগেই নিষেধাজ্ঞা জানানোর দাবি তুলেছিলাম। কঠোর হতেই হবে।’’ কোন নিষেধাজ্ঞার কথা বলছেন ট্রাম্প? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মুসলিমদের মার্কিন ভিসা না দেওয়ার যে দাবি আগে তুলেছিলেন তিনি, সেই কথাই ফের বলতে চাইছেন রিপাবলিকান প্রার্থী।