পাকিস্তানে বাড়ছে আইএস, দাবি রিপোর্টে

প্রশাসন মানতে নারাজ। কিন্তু পাকিস্তানেরই নিরাপত্তা বিষয়ক এক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, সে দেশে দিব্যি আড়েবহরে বাড়ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সিরিয়া-ইরাকে কোণঠাসা হয়ে এখন পাকিস্তানকেই পাখির চোখ করছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৯
Share:

এক তালিবানে রক্ষে নেই। দোসর আইএস!

Advertisement

প্রশাসন মানতে নারাজ। কিন্তু পাকিস্তানেরই নিরাপত্তা বিষয়ক এক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, সে দেশে দিব্যি আড়েবহরে বাড়ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সিরিয়া-ইরাকে কোণঠাসা হয়ে এখন পাকিস্তানকেই পাখির চোখ করছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। কাল প্রকাশিত এক রিপোর্টে ‘পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর পিস স্টাডিজ’ (পিআইপিএস) দাবি করেছে, গত বছর দেশে ছ’টি হামলা চালিয়েছে আইএস। যাতে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১৫৩ জনের। মূলত উত্তর সিন্ধু প্রদেশ আর বালুচিস্তানে আইএসের ব্যাপক উত্থান রুখতে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতেও পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তার পক্ষে এখনও সব চেয়ে বড় বিপদ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। কিন্তু আইএস-ও তলে-তলে যে ভাবে জমি দখলে নেমেছে, তাতে পশ্চিম এশিয়ার মতোই অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে পাকিস্তানে। বিদেশি শক্তির ঢুকে পড়াটাও আশ্চর্যের কিছু নয়।

তবে ২০১৬-র তুলনায় গত বছরে জঙ্গি হামলা অন্তত ১৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে পিআইপিএস। তবু অস্বস্তিই সঙ্গী ইসলামাবাদের। সন্ত্রাস-দমনে পাকিস্তানের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আমেরিকা নতুন বছরের গোড়া থেকেই তোপ দাগতে শুরু করেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সামরিক খাতে বেশ কয়েক প্রস্ত মার্কিন অনুদান। ইসলামাবাদকে ‘প্রতারক’ বলে সব রকম সাহায্য বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ঠিক এমনই সময় উঠে এল আইএসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এই প্রতিবেদন।

Advertisement

গত বছর ২ চিনা নাগরিককে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল বালুচিস্তানে। আইএস এর দায় স্বীকার করেছিল। এ ছাড়াও একাধিক ধর্মস্থানে হামলা চালিয়েছিল
আইএস। পিআইপিএস-এর আশঙ্কা, প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না-করলে এ বছর আরও মাথাচাড়া দিতে পারে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তালিবানের পরেই দেশে সব চেয়ে বড় জঙ্গি গোষ্ঠী বালুচিস্তানের লিবারেশন আর্মি ও লিবারেশন ফ্রন্ট। বালুচিস্তান ও উত্তর সিন্ধু প্রদেশের ৬৪টি জেলায় বালুচ বিদ্রোহী ও আইএস মিলে মোট ৩৭০টি হামলা চালিয়েছে গত বছরে। যাতে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন